সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) হিমবাহ ধসের (Glacier disaster) দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ প্রায় ২০০ জন! এপর্যন্ত ২৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তপোবন টানেলে আটকে রয়েছেন অনেকে। আইটিবিপি, এসডিআরএফ ও সেনার যৌথবাহিনী চেষ্টা করছে আটক ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে। টানেলের মুখ পাথর ও বালিতে আটকে যাওয়ায় তাঁদের সন্ধান পাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।
এসডিআরএফের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে অন্তত ৩৫ জন টানেলের ভিতরে রয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত (Trivendra Singh Rawat) ঘনঘন এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন। গতকাল সারারাত তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতেই ছিলেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও ক্রমাগত পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছেন। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ত্রিবেন্দ্র জানিয়েছেন, হিমবাহে ফাটলের ফলে দুর্ঘটনার দাবি করা হলেও ঠিক সেই কারণে তা ঘটেনি। বিজ্ঞানীদের মতে, কয়েক লক্ষ টন বরফ এক পাহাড়ের চুড়ো থেকে হঠাৎই নেমে এলে তা মুহূর্তে এলাকা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। ইসরোর বিজ্ঞানীরা ত্রিবেন্দ্রকে যে ছবি দেখিয়েছেন তাতে ধসের উৎসস্থলে কোনও হিমবাহে ফাটল ধরার চিহ্ন নেই বলেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে আজ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দুর্ঘটনায় মৃতদের উদ্দেশে শোকপ্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সম্ভাব্য সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে উত্তরাখণ্ডকে। এযাবৎ সরকারের তরফে ৪৬৮ কোটি সাহায্য করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেবভূমের প্রলয়ে (Uttarakhand) কার্যত ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে তপোবন বাঁধ। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। প্রাক্তন মন্ত্রী উমা ভারতীর দাবি, হিমবাহ ধস শুধুমাত্র উদ্বেগজনক নয়, বরং একে চরম হুঁশিয়ারি হিসেবেও দেখা উচিত। একইসঙ্গে তিনি জানান, গঙ্গা ও তার প্রধান শাখা নদীগুলির উপর জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির ঘোর বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, তপোবন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হয়েছিল রাজ্য পরিচালিত এনটিপিসির তত্ত্বাবধানে। খরচ হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। হিমবাহে ধসের জেরে এই প্রকল্পের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.