সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পাহাড়ি জনপদ যোশিমঠ (Joshimath) ঘিরে আতঙ্ক বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭৭৩টি বাড়ি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে ফাটল দেখা গিয়েছে। ১৩১টি পরিবারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপদ জায়গায়। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বুধবার রাতে এলাকা পর্যবেক্ষণে আসেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ে খতিয়ে আলোচনা করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জরুরি বৈঠকের ডাক দিলেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে দ্রুত যোশিমঠে আসেন ধামি। বিপর্যস্ত এলাকা তিনি খতিয়ে দেখেন। ত্রাণশিবিরেও যান তিনি। সেখানে তিনি আশ্বাস দেন, যে সব বাড়ি ভাঙা হবে সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা হবে বাজারদর মেনেই। এপর্যন্ত দেড় লক্ষ টাকা করে প্রাথমিক আর্থিক সাহায্য করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
आज पूर्व निर्धारित कार्यक्रमों को स्थगित करते हुए रात्रिप्रवास हेतु जोशीमठ पहुंचकर प्रभावित क्षेत्रों का स्थलीय निरीक्षण कर नागरिकों से मुलाकात की। इस दौरान क्षेत्र में कार्यरत अधिकारियों के साथ चल रहे राहत एवं पुनर्वास कार्यों की समीक्षा की। pic.twitter.com/AWOSllN22Z
— Pushkar Singh Dhami (@pushkardhami) January 11, 2023
এদিকে ধামি জানিয়েছেন, বাড়ি ভাঙা ও আর্থিক সাহায্যের অঙ্ক নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হলেও এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে কেবল দু’টি হোটেল ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কোনও বসতবাড়ি ভাঙার পরিকল্পনা এখনও পর্যন্ত সরকারের নেই।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমরা যোশিমঠের মানুষের পাশে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগত ভাবে বিষয়টির দিকে নজর রেখেছেন। ওঁর সম্পূর্ণ সমর্থন আমার সঙ্গে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের স্বার্থ অবশ্যই দেখা হবে।”
পাশাপাশি ধামির বক্তব্য, এমন বলা হচ্ছে যেন গোটা রাজ্যই ঝুঁকির মুখে রয়েছে। তাঁর কথায়, ”এমন একটা কথা রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে অলিতে আন্তর্জাতিক শীতকালীন গেমস রয়েছে। কয়েক মাস পরে চারধাম যাত্রা। এই পরিস্থিতিতে এই ধরনের কথা বলা উচিত নয়।”
এদিকে ফাটল আতঙ্কের মধ্যেই যোশিমঠে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। যদিও মুষলধারে নয়, বুধবার থেকে এখনও পর্যন্ত হালকা বৃষ্টির কথাই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি চামৌলির সুনীল অঞ্চলে শুরু হয়েছে তুষারপাত। আকাশ ঢেকে আছে ঘন মেঘে। এহেন পরিস্থিতিতে ধস নামার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, যোশিমঠের বিপর্যয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতে। তবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের সমস্ত বিষয়ই একসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে না। এই সমস্যার সমাধান করতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। মামলার শুনানির জন্য ১৬ জানুয়ারির তারিখ চূড়ান্ত করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.