সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক লিটার দুধে কতজন শিশুর পেট ভরতে পারে? খুব বেশি হলে চার-পাঁচজন। কিন্তু ৮১ জন শিশুর পেট ভরতে পারে কি? অবাক হচ্ছেন তো, ভাবছেন এও সম্ভব? সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে এক লিটার দুধ ৮১ জন শিশুর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হচ্ছে।আর এই ভিডিওই আরও একবার যোগীর রাজ্যের মিড ডে মিলের কঙ্কালসারশূন্য অবস্থাই সামনে আনল।
এক বালতি জলে মেশানো হল এক লিটার দুধ। তারপর সেই জল-দুধ দেওয়া হল স্কুলের ৮১ জন পড়ুয়াকে। সারাদিন অভুক্ত থাকা গরিব পরিবারের খুদে পড়ুয়াগুলো একটু পুষ্টি পেতে আধ গ্লাস ওই দুধ হাতে পেয়েই খেয়েছে চোঁ চোঁ করে। মিড ডে মিলে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ দুধে এভাবেই বিপুল পরিমাণ জল মিশিয়ে চলছে দুর্নীতি। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে। দুধে জল মেশানোর এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই নিন্দায় সরব বিভিন্ন সমাজকর্মী ও নেটিজেনরা। তাঁদের দাবি, ওই এলাকার গরিব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পরিবারের ছেলেমেয়েরা স্কুলটিতে পড়তে আসে। দিনে একবার পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য ওরা সরকারি প্রকল্পের মিড ডে মিলকেই একমাত্র ভরসা করে। বুধবার গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্য স্কুলের রান্নাঘরে দুধে জল মেশানোর দৃশ্যটি ভিডিও করেন। তাতে দেখা যায়, রাঁধুনি একটি বিশাল অ্যালুমিনিয়ামের পাত্রে এক বালতি দুধ ঢেলে ফোটাচ্ছেন। তারপর তাতে এক লিটারের দুধের প্যাকেট থেকে দুধ ঢেলে একটি হাতা দিয়ে সেটি ভাল করে মিশিয়ে দিলেন। এরপর স্টিলের গ্লাস হাতে দাঁড়িয়ে থাকা ৮১ জন পড়ুয়াকে আধ গ্লাস করে ওই জল-দুধ দিলেন।
ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়ে জেলা প্রশাসকের তরফে বলা হয়, অভিযোগ পেয়েই স্কুলটিতে আরও দুধের প্যাকেট পাঠানো হয়েছে। স্কুলে পর্যাপ্ত দুধ থাকা সত্ত্বেও কেন পড়ুয়াদের সঠিক পরিমাণে ভাল মানের দুধ দেওয়া হচ্ছে না সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেরায় রাঁধুনি ফুলবন্তি বলে, “আমাদের স্কুলের তরফে ওইদিন এক প্যাকেটই দুধ দেওয়া হয়েছিল। আমার কিছু করার ছিল না। বাধ্য হয়ে তাই এক বালতি জলে অত অল্প দুধ মিশিয়ে দিয়েছিলাম।” আগেও মিড ডে মিলের খাবার চুরি, খারাপ মানের চাল, ডিম না দেওয়ার মতো নানা অভিযোগ উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কুলে। সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন উত্তরপ্রদেশের এই স্কুল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.