Advertisement
Advertisement
Uttar Pradesh

Uttar Pradesh: ডাহা ফেল যোগীরাজ্য! কেন্দ্রের ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের কাজে সবচেয়ে পিছিয়ে উত্তরপ্রদেশ

বাংলা-সহ অন্যান্য অবিজেপি রাজ্যে কাজ হয়েছে ঢের ভাল, বলছে পরিসংখ্যান।

Uttar Pradesh stands lowest at 'Jal Jeevan Mission' implementation | Sangbad Pradesh
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 14, 2022 9:09 am
  • Updated:June 14, 2022 9:17 am  

নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের প্রকল্প ‘জল জীবন মিশন’এ  দেশের মধ্যে সবথেকে পিছনে রয়েছে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশই (Uttar Pradesh)। নিজের রাজ্য রাজস্থানেই ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের কাজ করতে ব্যর্থ কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি অসহযোগিতার কারণে সেখানে এই প্রকল্পের কাজ করতে অসুবিধা হচ্ছে বলেও বারবার অভিযোগ করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। অথচ কার্যক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এই প্রকল্পের আওতায় দেশের যে রাজ্য সবথেকে কম কাজ হয়েছে, তা উত্তরপ্রদেশ। সেখানে  এখনও পর্যন্ত মাত্র ১৩.৮৭ শতাংশ গ্রামীণ বাড়িতেই জল সংযোগের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।  

দেশের যে সমস্ত রাজ্যে ‘জল জীবন মিশন’ (Jal Jeevan Mission) প্রকল্পে ২৫ শতাংশের কম কাজ হয়েছে, সেখানে রয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী শেখওয়াতের নিজের রাজ্য রাজস্থান। সেখানে ২৪.৮৭ শতাংশ কাজ এগিয়েছে এই প্রকল্পে। অথচ এই শেখায়তই বাংলায় এসে অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্য সরকারের অসহযোগিতায় এই প্রকল্পের কাজে গতি আসেনি। তাহলে বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ কেন এই প্রকল্প রূপায়ণে সবার শেষে? এই প্রশ্নের জবাব অবশ্য মেলেনি। উত্তরপ্রদেশে এই প্রকল্পের গতি এতটাই ঢিমে তালে চলছে তা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে শেখায়তের মন্ত্রক। দেশের সবথেকে জনবহুল রাজ্যে যদি ‘জল জীবন প্রকল্পে’র কাজ না এগোয়, তাহলে কেন্দ্র সরকার এক্ষেত্রে নিজেদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হবে সেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কেন্দ্র সরকারের কপালেই।

Advertisement

২০১৯ সালে ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিনে লাল কেল্লার প্রাচীর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় বাড়িতে জলের কল সংযোগের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করার কথা এই প্রকল্পে ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। উত্তরপ্রদেশ তো বটেই, মন্ত্রীর নিজের রাজ্যের কারণেই এই প্রকল্প রূপায়ণে সরকারের মুখ পুড়তে পারে সেই আশঙ্কাও রয়েছে সরকারের অন্দরে।

[আরও পড়ুন: উপত্যকায় জঙ্গিদমনে বড় সাফল্য, ২ জেহাদিকে নিকেশ করে অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক বানচাল]

অথচ ‘জল জীবন মিশন’ প্রকল্পকে হাতিয়ার করে বিজেপি বারবারই বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলির দিকে নিশানা করেছে। এমনকী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শেখায়তও গত বছর বিধানসভা ভোটর আগে  বঙ্গ সফরে গিয়েও তাঁর দপ্তরের এই প্রকল্পকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের দিকে আক্রমণ করেছেন। বাস্তবে অবশ্য তাঁর নিজের রাজ্য রাজস্থানের থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলা। প্রায় ২৭ শতাংশ কাজ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)। যার মধ্যে সবথেকে ভাল কাজ হয়েছে রাজ্যের নদিয়া জেলাতে। প্রকল্প রূপায়ণের ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান তো বটেই  ঝাড়খণ্ড, ছত্রিশগড়ের মতো রাজ্যও বাংলার পিছনেই রয়েছে। ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের সমস্ত বাড়িতে ‘হর ঘর জল’ বলে কেন্দ্র সরকার তথা বিজেপির (BJP) তরফ থেকে যে প্রচার চালানো হয়ে আসছে তার গতি যে যথেষ্ট শ্লথ, সেকথা ‘জল জীবন মিশনে’র ড্যাশবোর্ডেই দেখা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: প্রাক্তন ক্রিকেটারদের পেনশন বাড়ছে ১০০ শতাংশ! বড় ঘোষণা ভারতীয় বোর্ডের]

২০১৯ সালে কেন্দ্র সরকার যে সমস্ত এই প্রকল্প শুরু করেছিল তারপর থেকে কাজ হয়েছে মাত্র ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। কেন্দ্র সরকারের তরফে ঘটা করে দেশের গ্রামীণ এলাকায় ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে বলে দাবি করা হলেও এই প্রকল্প শুরুর আগে থেকেই প্রায় ১৭ শতাংশ কাজ এগিয়ে ছিল তা ড্যাশবোর্ডের পরিসংখ্যনেই রয়েছে। সেখানে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মধ্যে ‘জল জীবন মিশনে’র লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য এই গতি যথেষ্ট নয়।

যে কটি রাজ্যে এই প্রকল্পে ভাল কাজ হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে গোয়া, তেলেঙ্গানা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, দাদরা এবং নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ, পুদুচেরি এবং হরিয়ানা ইতিমধ্যে ১০০ শতাংশ পরিবারের এবং পাঞ্জাব, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ এবং বিহার ৯০ শতাংশেরও বেশি পরিবারকে জল সংযোগ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ‘জল জীবন মিশনে’র অধীনে গ্রামীণ পরিবারের পাশাপাশিই গ্রামীণ এলাকার সরকারি স্কুল, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, কমিউনিটি হেলথ সেন্টার এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতেও কলের মাধ্যমে জল সংযোগ দেওয়া হচ্ছে৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement