সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিনের পর দিন মায়ের উপর নৃশংস অত্যাচার চালাত বাবা। ‘বদলা’ নিতে বাবাকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল ছেলে। খুনের দৃশ্য দেখে ফেলায় দাদুকেও একইভাবে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিলেন বছর ২১-এর যুবক। ভয়ংকর এই খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) গ্রেটার নয়ডায় (Greater Noida)। পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত যুবককে। তদন্তকারীদের দাবি, জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
নৃশংস জোড়া খুনের ঘটনাটি ঘটেছে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে। অভিযুক্ত যুবকের নাম জ্যাসমিন। ওইদিন বাবা বিক্রমজিৎ রাও এবং দাদু (বাবার বাবা) রামকুমার রাওকে হত্যা করেছেন তিনি। পারিবারিক অশান্তির জেরে বিক্রমজিৎ এবং তাঁর স্ত্রী আলাদা থাকতেন। তাঁদের মধ্যে আইনত বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছিল। জ্যাসমিনের দাবি, মায়ের উপর বাবার অত্যাচারের কথা গোটা পরিবার জানত। এর ফলেই সন্তানের হাত ধরে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
ঘটনার দিন রাতে গ্রেটার নয়ডার দানকাউর এলাকার বাল্লু খেরা গ্রামে নির্মীয়মাণ ফিল্ম স্টুডিওতে ছিলেন বিক্রমজিৎ এবং রামকুমার। গভীর রাতে সেখানেই হামলা চালায় অভিযুক্ত জ্যাসমিন। কুড়ুল দিয়ে গলায়, মুখে, মাথায় কুপিয়ে ঘুমন্ত বিক্রমজিৎকে হত্যা করেন তিনি। ছেলের চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায় রামকুমারের। তখন তাঁকেও একইভাবে হত্যা করেন, যেহেতু নাতিকে চিনে ফেলেছিলেন দাদু।
গ্রেটার নয়ডার পুলিশকর্তা অশোক কুমারের দাবি, এর পর পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান জ্যাসমিন। রক্তে ভেজা জামা ধুয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েও পড়েন। যদিও পরদিন ওই ফিল্ম স্টুডিও থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হতেই শোরগোল শুরু হয়। গ্রেপ্তার করা হয় জ্যাসমিনকে। ঘাতক কুড়ুলটিকেও উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যে পুলিশি জেরায় জোড়া খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত যুবক। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.