সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জি ডি বিড়লা, রায়ান স্কুলের স্মৃতি এখনও টাটকা। এর মধ্যেই ফের সামনে এল নারকীয় ধর্ষণের অভিযোগ। তাও আবার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে। নিজের স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে ওই নাবালকের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের সাহিবাবাদ পুলিশ স্টেশনে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
[নির্যাতিতার নাম প্রকাশ, ফের বিতর্কে জি ডি বিড়লার প্রিন্সিপাল]
ঘটনাটি ঘটেছিল নভেম্বর মাসে। ডিসেম্বর মাসের তিন তারিখ অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার বাবা। পুলিশকে তিনি জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই মেয়ের গোপনাঙ্গ থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। প্রথমে তাঁরা ভেবেছিলেন ঝাল কিছু খাওয়ার জন্য কিংবা শরীরে কোনও অসুবিধার জন্য রক্তপাত হচ্ছে ৭ বছরের শিশুর। তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তাঁরা। ডাক্তারই তাঁদের জানান যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণির ওই পড়ুয়া। এরপরই থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। তখনও জানা যায়নি এই কাজ কার। ফলে অজ্ঞাত পরিচয় অপরাধীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। পরে সাত বছরের বালিকাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে চিহ্নিত করে।
জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসের আট তারিখ কুয়াশার জন্য স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। সমস্ত অভিভাবককে ফোন করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই এসে নিজেদের সন্তানদের নিয়ে যান। তবে কিছু পড়ুয়ার অভিভাবক আসতে দেরি হওয়ায় তারা স্কুলেই থেকে যায় কিছুক্ষণের জন্য। তাতে দুই পড়ুয়াও ছিল। অভিযোগ, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর পিছু নিয়ে স্কুলের শৌচালয়ে পৌঁছে যায় ওই ছাত্র। সেখানে তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত পড়ুয়া। এমনকী, তাঁর গোপনাঙ্গে কাঠের টুকরো পর্যন্ত ঢুকিয়ে দেয়। এরপর থেকেই নাবালিকার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তপাত হতে থাকে। তবে প্রথমে সাত বছরের শিশু কাউকে কিছু বলার সাহস পায়নি। কিন্তু যন্ত্রণা সইতে না পেরে মা’কে ব্যথার কথা জানায়। তবে যৌন নিগ্রহের কথা বলতে পারেনি সে। তা জানা যায় ডাক্তারের মাধ্যমেই।
[ছাত্রীদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করলেই জানিয়ে দেবে নয়া যন্ত্র]
সোমবারই ফের সাত বছরের বালিকার মেডিক্যাল টেস্ট হয়। তার রিপোর্ট আসলেই তদন্ত এগোবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনার পরই স্কুল চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কেমন করে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া এতটা নৃশংস হতে পারে, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। প্রয়োজনে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর।
[‘দু-একজনের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজের ভাবমূর্তিতে আঘাত করা ঠিক নয়’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.