ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেআইনিভাবে ব্ল্যাড ব্যাংক চালানোর জন্য পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে জাল রক্ত বানিয়ে রোগীদের বিক্রি করারও অভিযোগ উঠেছে। লখনউ শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশ যে সত্যিই ভেজালে ছেয়ে যাচ্ছে, তার প্রমাণ তো প্রতিনিয়তই মেলে। কিন্তু মানুষের রক্তও যে জাল হয়, এই খবর কচিৎ কদাচিৎ সামনে আসে। এবার তেমনই রক্তের সন্ধান মিলল উত্তরপ্রদেশে। জানা গিয়েছে, তারা ব্লাড ব্যাংকে রক্ত বিক্রির আগে তার সঙ্গে স্যালাইন মিশিয়ে দেয়। না জেনে সেই রক্তই এতদিন বহু রোগীকে দেওয়া হয়েছে। ক্রমাগত এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় তদন্তে নামে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। নিযুক্ত হয় বিশেষ টাস্ক ফোর্স।
[ নীতীশের সঙ্গে চূড়ান্ত রফা, বিহারে নতুন জোট জটে বিজেপি ]
এসপি অভিষেক সিং জানিয়েছেন, যাদের টাকার দরকার থাকত, তাদের থেকে ৫০০-৬০০ টাকা দিয়ে রক্ত কিনত তারা। দাতার লিস্টে মাদকাসক্ত ব্যক্তিরাও ছিল। এমনকী রক্তদানের আগে এইচআইভি বা অন্য কোনও টেস্ট করানো হত না। তারপর তার সঙ্গে মেশানো হত স্যালাইন ওয়াটার। এরপর সেই স্যালাইন মিশ্রিত রক্ত বিক্রি করা হয় দু’হাজার থেকে তিন হাজার টাকায়। কখনও এর থেকেও বেশি দামে বিক্রি হত রক্ত। পুলিশের তরফে আরও জানানো হয়েছে, হাসপাতালে এমন অনেক রোগী থাকে যারা ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত পায় না। তাদের কাছে এই ভেজাল রক্ত বিক্রি করত তারা। গত ছ’মাস ধরে এই চক্র কাজ করছিল। প্রায় এক হাজার ইউনিট ভেজাল রক্ত বিক্রি করেছে তারা। শেষ পর্যন্ত তারা পুলিশর জালে ধরা পড়ল।
ধৃতদের মধ্যে রয়েছে দলের পাণ্ডা মহম্মদ নাসিম। এছাড়া ল্যাব টেকনিশিয়ান রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিংও রয়েছে তালিকায়। বেআইনিভাবে রক্তদাতাদের নিয়ে আসত রশিদ আলি। সেই ভেজাল রক্ত বিক্রির কাজ করত। ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট পঙ্কজ ত্রিপাঠি পেশাগত রক্তদাতাদের দিয়ে রক্ত সাপ্লাইয়ের কাজ করত। এছাড়া জাল নথি বানানোর কাজ করত হানি নিগমের উপর। প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[ জঙ্গিদমন অভিযানে গিয়ে উপত্যকায় শহিদ সেনা আধিকারিক ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.