সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষমেশ হজে ভরতুকি তুলেই দিয়েছে কেন্দ্র। মঙ্গলবারই সে ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রক। জানানো হয়, তীর্থযাত্রার পরিবর্তে এই টাকা কাজে লাগানো হবে মুসলিম মেয়েদের পড়াশোনার খাতে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে নানা বিতর্ক। তা আরও বাড়িয়ে দিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। হিন্দু সংগঠনের দাবি, ভরতুকি বাবদ বেঁচে যাওয়া টাকা খরচ করা হোক হিন্দুদের জন্যই।
[ এনকাউন্টারের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব তোগাড়িয়া ]
কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি প্রবীণ তোগাড়িয়া জানিয়েছেন, শেষমেশ যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে তাতে তিনি খুশি। তাঁর দাবি, এই সিদ্ধান্তের মতোই গো-হত্যা বন্ধ ও রাম মন্দির তৈরির ক্ষেত্রেও আইন আনা হোক। তবে তারপরই বিতর্ক বাড়িয়ে দেন এই প্রবীণ নেতা। তিনি জানান, “হজে ভরতুকি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে অনেক টাকাই বেঁচে যাবে। সেই টাকা হিন্দু গরিব মেয়েদের পড়াশোনার কাজেই খরচ করা হোক”।
[ বধূ কি ‘ভার্জিন’? সামাজিক অগ্নিপরীক্ষা বন্ধের দাবিতে প্রতিবাদে যুবকরা ]
চলতি বছর থেকেই হজে ভরতুকি বন্ধ বলে ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাকভি। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোর বিতর্ক। কেউ বলছেন, এর ফলে গরিব মুসলমানরা আর হজে যেতে পারবেন না। বিপক্ষমহলের মত, তীর্থযাত্রা নিজের টাকাতেই করা উচিত। ভরতুকির টাকা যদি পড়াশোনা বিশেষত মেয়েদের পড়ার কাজে লাগানো হয় তবে তার থেকে ভাল আর কিছু হয় না। এদিকে এই নিয়ে চলছে রাজনীতির খেলাও। রাজনৈতিকভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করা হয়েছে। অন্যদিকে তিন তালাক বন্ধের পর এই সিদ্ধান্তের জেরে আরও একবার বাজিমাত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় শাসকদল। যা নিয়ে কটাক্ষ মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েসির। তাঁর দাবি, “কেন্দ্র এ নিয়ে এখন যেরকম ঢক্কানিনাদ করছে, তার কোনও দরকার নেই। ২০০৬ সাল থেকেই আমি এই ভরতুকি তুলে দেওয়ার কথা বলে আসছি। শিক্ষাখাতে সেই টাকা খরচের দাবি জানিয়েছি। আর ২০১২ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ও চলে এসেছিল।” অর্থাৎ এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্রের বিশেষ ভূমিকা দেখছেন না তিনি।
I’ve been saying since 2006 that this Haj subsidy money should be used for education of Muslim children, especially girls. Zyaada baaja bajane ki zarurat nahi hai, 2012 mein Supreme Court ka judgement aa chuka tha: Asaduddin Owaisi on withdrawl of Haj subsidy pic.twitter.com/bTTpvUiMIz
— ANI (@ANI) January 16, 2018
অন্যদিকে এই সিদ্ধান্ত হিন্দুদের তীর্থযাত্রা নিয়েও কিছু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। কুম্ভ মেলা-সহ বিভিন্ন হিন্দু তীর্থযাত্রার জন্যও আলাদা আলাদা রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ রাখে। যদি হজে ভরতুকি তুলে দেওয়া হয়, তাহলে এই বরাদ্দেরই বা যৌক্তিকতা কোথায়? উঠছে প্রশ্ন। এই চাপানউতোরের মধ্যেই বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল ভিএইচপি।
[ বিচিত্র সমীকরণ! তোগাড়িয়ার পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তোপ হার্দিকের ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.