Advertisement
Advertisement
Antony Blinken

Afghanistan নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারত সফরে মার্কিন বিদেশ সচিব

বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠক করলেন অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

US Secretary of State Antony Blinken arrives in India | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 28, 2021 1:55 pm
  • Updated:July 28, 2021 2:10 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান (Afghanistan) নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার ভারতে এলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বুধবার অর্থাৎ আজ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন বিদেশ সচিব বলে খবর।

[আরও পড়ুন: অবসরের ৩ আগেই বাড়ল মেয়াদ, দিল্লি পুলিশের প্রধান পদে মোদি ঘনিষ্ঠ আস্থানা]

আফগানিস্তানে তালিবানের আগ্রাসন, বিশ্ব সন্ত্রাসবাদ, সাইবার সিকিউরিটি, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার-সহ একাধিক ইস্যুতে ভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন বিদেশ সচিব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি বিমানবন্দরে ব্লিঙ্কেনের বিমান নামতেই রাশিয়া, চিন, পাকিস্তান-সহ বিশ্বের তাবড় দেশ তীক্ষ্ণ নজর রাখছে সাউথ ব্লকের দিকে। বলে রাখা ভাল, মার্কিন বিদেশ সচিব পদে বসার পর এটাই ব্লিঙ্কেনের প্রথম ভারত সফর। বিশেষ করে আফগানিস্তান নিয়ে নয়াদিল্লি ও মস্কোর কুটনৈতিক আলোচনার প্রেক্ষিতে এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকের পর মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। করোনা-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে যা এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে বদ্ধপরিকর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।” এদিকে, নয়াদিল্লিতে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর জোর দেন ব্লিঙ্কেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ব্লিঙ্কেন বলেন, “ভারত ও আমেরিকার জনগণ মানবিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন, ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।” বিশ্লেষকদের মতে, গোহত্যা ও মৌলবাদের নামে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও কাশ্মীরে মানবাধিকার নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে আলোচনা করবেন মার্কিন বিদেশ সচিব। যদিও ভারত আগেই সাফ জানিয়েছিল যে এই বিষয়গুলি নিয়ে অযথা জল ঘোলা করা উচিত নয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, আফগানভূমে তালিবানের উত্থানে চিন্তিত ভারত। গৃহযুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত দেশটিতে পাকিস্তানি প্রভাব রুখতে ও লগ্নি রক্ষায় গোপনে তালিবানের পাক বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি। এহেন সময়ে নয়াদিল্লিকে বাদ দিয়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও উজবেকিস্তানকে নিয়ে নতুন এক আঞ্চলিক শক্তি (কোয়াড গ্রুপ) তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে আমেরিকা। এর ফলে রীতিমতো অসন্তুষ্ট সাউথ ব্লক। তার আগে রাশিয়ার দরবারে গিয়েও আফগানিস্তান নিয়ে দরবার করে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। কিন্তু সমীকরণ পালটে সদ্য তালিবানের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমেরিকা-রাশিয়া-চিন-কাবুলের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মস্কো। ওই বৈঠকে ইরান ও পাকিস্তানের যোগ দেওয়ার কথাও রয়েছে বলে খবর। কয়েকদিন আগেই তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে-তে ‘সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। তিনি বুঝেছেন, আমেরিকা, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার তৈরি ‘কোয়াড’-এর পালটা আরও এক ‘কোয়াড’ আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে। চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ইরান। ফলে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে নয়াদিল্লিকে আশ্বস্ত করতে বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাঠিয়েছে আমেরিকা বলেই মত বিশ্লেষকদের।

[আরও পড়ুন: এবার সংসদেও ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে প্রতিবাদ TMC সাংসদদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement