সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূজা খেদকারের UPSC প্রার্থীপদ বাতিল করা হল। আগামী দিনে ইউপিএসসি পরীক্ষায়ও বসতে পারবেন না তিনি। বুধবার এই কথা জানিয়ে দেওয়া হল কমিশনের তরফে। উল্লেখ্য ভুয়ো নথি ব্যবহার করে আইএএস হয়েছেন পূজা খেদকার, এমনই অভিযোগ উঠেছিল। বিতর্ক চরম আকার নিতেই তাঁর প্রশিক্ষণে জারি করা হয়েছিল স্থগিতাদেশ।
ঠিক কী কী অভিযোগ উঠেছিল ট্রেনি আইএএসের বিরুদ্ধে? নির্ধারিত সীমার বেশিবার পরীক্ষা দিতে নাম, পরিচয় ও বয়স বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল পূজার বিরুদ্ধে। এই মর্মেই পূজাকে ইউপিএসসি-র তরফে নোটিস পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করা হবে না। তখনই জানা গিয়েছিল, পূজার বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপের পথে ইউপিএসসি। সব মিলিয়ে চাকরি হারানোর আশঙ্কা আরও প্রবল হতে চলেছে পূজার জন্য।
এহেন পরিস্থিতিতে পূজার বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্ত করেছে ইউপিএসসি। তার পরেই কর্তৃপক্ষের তরফে বিবৃতি বলা হয়, সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখে জানা গিয়েছে যে CSE-2022র নিয়ম ভেঙেছেন পূজা। সেই কারণেই ওই বছরে তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে ইউপিএসসির কোনও পরীক্ষায়ও বসতে দেওয়া হবে না পূজাকে।
তদন্তকারীদের দাবি, ২০২০ সালে তাঁর ব্যবহৃত নাম ছিল খেদকার পূজা দিলীপরাও। বয়স লেখা ছিল ৩০। আবার ২০২৩ সালের পরীক্ষায় নাম পূজা মনোরমা দিলীপ খেদকার। বয়স ৩১। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তিন বছরে মাত্র এক বছর বয়স কী করে বাড়ল! আসলে ইউপিএসসিতে জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী ৩২ বছর বয়সের মধ্যে ৬ বার পরীক্ষা দিতে পারেন। আবার ওবিসি প্রার্থীরা ৩৫ বছরের মধ্যে ৯ বার পরীক্ষায় বসতে পারেন।
সূত্রের দাবি, পূজা মোট ১১ বার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। অভিযোগ প্রতিবার পরীক্ষা দেওয়ার সময় নিজের নাম ও বয়েস ভাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, চাকরি পেতে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেছেন অভিযুক্ত। জানা গিয়েছে, MBBS কোর্সে ভর্তির সময় কলেজে যে ‘ফিট সার্টিফিকেট’ জমা দেন পূজা, সেখানে তাঁকে শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ তথা স্বাভাবিকই বলা হয়েছিল। সার্টিফিকেটে বলা হয়, ‘তাঁর এমন কোনও রোগের ইতিহাস নেই যা তাঁকে পেশাদার কোর্সে করতে বাধা দিতে পারে। এছাড়াও ক্লিনিকাল পরীক্ষায় প্রমাণিত যে তিনি কোর্সটি করার জন্য মেডিক্যালি উপযুক্ত।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.