ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্নীতি রুখতে ডিজিটাল হচ্ছে দেশ। কিন্তু এ তো সরষের মধ্যেই ভূত! ২৫টি স্কুলে একইসময়ে শিক্ষকতা করছেন একজন মহিলাই। মাস গেলে বেতন পাচ্ছেন প্রায় কোটি টাকা। উত্তরপ্রদেশের অভিনব জালিয়াতির কথা সামনে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ প্রশাসনের। বলছেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষক হলে সরকারের কাছে অনলাইনে সমস্ত তথ্য নথিভুক্ত থাকে। তারপরেও কীভাবে এমনটা ঘটল, তা বুঝতেই পারছেন না তাঁরা। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষিকা কার্যত বেপাত্তা। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। যোগীর রাজ্যে এহেন দুর্নীতির পিছন বড়সড় জালিয়াতি চক্র কাজ করছে বলে মনে করছেন বিরোধীরা। প্রশাসনেরও একাংশ যুক্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির কস্তরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষিকা অভিযুক্ত মহিলা। একইসঙ্গে আম্বেদকর নগর, বাঘপত, আলিগড়, সাহারানপুর ও প্রয়াগরাজের মোট ২৫টি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্যের ডিজিটাল ডেটাবেস তৈরি করা হচ্ছে। সেই কাজ করতে গিয়েই এই বিষয়টি সামনে আসে। দেখা যায়, ২৫টি স্কুলে একজন মহিলা শিক্ষকতা করছেন। একই তথ্য ২৫টি স্কুলের নিজস্ব ডেটাবেসে তোলা রয়েছে। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অনলাইনে হাজিরা দিতে হয়। স্কুলে পৌঁছে তবেই এই হাজিরা দেওয়া যায়। তারপরেও কীভাবে টানা কয়েক বছর এই জালিয়তি চলল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১৩ মাস বিভিন্ন স্কুল থেকে মোট এক কোটি টাকা বেতন তুলেছেন ওই শিক্ষিকা। মার্চ মাসে ঘটনাটি সামনে আসতেই বেতন আটকে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের স্কুলশিক্ষা দপ্তরের ডিজি বিজয় কিরণ আনন্দ, কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। কারা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাও তদন্ত করে দেখা হবে। তবে লকডাউন চলায় তদন্তের গতিতে কিছুটা ভাঁটা পড়েছে বলেও স্বীকার কর নিয়েছেন তিনি। তবে এই ঘটনার পিছনে বড়সড চক্র জড়িয়ে আছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের আশঙ্কা, তদন্ত নেমে কেঁচো খুঁড়তে না কেউটে বেরিয়ে পড়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.