সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা রামে রক্ষে নেই, তায় সুগ্রীব দোসর! এই কথাই এখন মনে হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতৃত্বের অবস্থা দেখে। উন্নাও কাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারকে দল থেকে বহিষ্কৃত করেছে তারা। কিন্তু, তারপরও তাকে নিয়ে অস্বস্তি এখনও কাটেনি। দলের হুইপের বিরুদ্ধে গিয়ে মাঝে মাঝে জেলবন্দি বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে পড়ছেন অন্য দলীয় বিধায়করা। স্বাধীনতা দিবসের বিজ্ঞাপনে মোদি ও যোগীর পাশে ছাপা হচ্ছে তার ছবি। আর এসবের মাঝেই অটলবিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার প্রাক্তন এক সদস্য ও উত্তরপ্রদেশের প্রভাবশালী নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক এক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ জানানোর পরে নিখোঁজ হয়েছেন এক আইনের ছাত্রী। পুলিশের কাছে মেয়েটির পরিবারের তরফে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি তারা। মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে শাহাজাহানপুরে।
গত ২৪ আগস্ট স্বামী চিন্ময়ানন্দের নাম না করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন শাহাজাহানপুরের এসএস ল কলেজের ওই ছাত্রী। একটি ভিডিওতে কাঁদতে কাঁদতে ২৩ বছরের ওই যুবতী বলেছিলেন, ‘কলেজের পরিচালন সমিতির প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ছাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। দীর্ঘদিন ধরে এক প্রভাবশালী নেতা ও সন্ন্যাসী অনেক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে। কিন্তু, প্রশাসনের লোকেরা তার সঙ্গে থাকায় কেউ কিছু করছে না। কিছুদিন আগে আমার সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই ব্যক্তি। ওর বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণও আছে আমার কাছে। কিন্তু, এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরেই আমাকে ও আমার পরিবারের প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। মোদিজি ও যোগীজির কাছে অনুরোধ করছি, তাঁরা আমাকে সাহায্য করুন। না হলে কেউ ওর কিছু করতে পারবে না।’
এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই ওই যুবতীটি নিখোঁজ হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। এই বিষয়ে স্থানীয় থানাতে স্বামী চিন্ময়ানন্দের একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন মেয়েটির বাবা। কিন্তু, তারপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।
যদিও পুলিশ জানিয়েছে যে ওই মেয়েটির পরিবারের মতো অভিযোগ জানিয়েছেন চিন্ময়ানন্দের অনুগামীরাও। তাঁদের অভিযোগ, ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পাঁচ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে একটি ফোনও এসেছিল চিন্ময়ানন্দের কাছে। কিন্তু, তাতে গুরুত্ব না দেওয়ায় তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ জানানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের জৌনপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন স্বামী চিন্ময়ানন্দ। তারপর ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্বও সামলাছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.