সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের টিফিনে আমিষ খাবার নিয়ে আসার ‘অপরাধ’। তাই শাস্তি হিসাবে এক পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করে দিলেন উত্তরপ্রদেশের স্কুলের প্রিন্সিপাল। সাফ জানিয়ে দিলেন, স্কুলে আমিষ খাওয়ার মতো ‘কুশিক্ষা’ ছড়াতে চান না। ওই পড়ুয়ার মা এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলে স্কুলের প্রিন্সিপালের দাবি, জোর করে পড়ুয়াদের ধর্মান্তরের চেষ্টা করছেন পড়ুয়ার মা।
নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও থেকে এই ঘটনার খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, গোটা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের আমরোহার একটি স্কুলে। সেখানকার ৭ বছর বয়সি এক পড়ুয়া আমিষ খাবার নিয়ে গিয়েছিল টিফিনে। সেই বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই নার্সারির ওই পড়ুয়াকে স্কুল থেকে সাসপেন্ড করে দেন প্রিন্সিপাল। তাঁর দাবি, ওই পড়ুয়াকে নিয়ে অন্য অভিভাবকদের সমস্যা রয়েছে। সেই জন্যই স্কুলের রেজিস্টার থেকে পড়ুয়ার নাম কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বেসরকারি স্কুলের প্রিন্সিপালের এহেন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ পড়ুয়ার পরিবার। খবর পেয়েই প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলতে যান ওই পড়ুয়ার মা। প্রায় সাত মিনিট তাঁদের কথোপকথন চলে। সেই ভিডিওটিই ভাইরাল হয়ে যায় নেটদুনিয়ায়। সেখানে প্রিন্সিপালের দাবি, ওই পড়ুয়া সকলকে আমিষ খাবার খেতে বলত। ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিত। ছেলের নামে এমন অভিযোগ শুনে মায়ের পালটা, সাত বছরের শিশুর পক্ষে এমন কথা বলা অসম্ভব।
ওই পড়ুয়ার মায়ের অভিযোগ, স্কুলে অহেতুক হিন্দু-মুসলিম বিদ্বেষ ছড়ানো হয়। এমনকি তাঁর ছেলেকে অন্য পড়ুয়ারা মারধরও করে। যদিও প্রিন্সিপালের দাবি, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। স্কুলে আমিষ খাওয়া, মন্দির ভাঙার আলোচনা এসব বরদাস্ত করবেন না বলেই ওই পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেছেন তিনি। তবে তাঁদের কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে নড়েচড়ে বসেছে আমরোহার ডিআইএস। তিন সদস্যের কমিটি গড়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.