Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uttar Pradesh

মূর্তি বসানোর আগেই ডাকাতরানি ফুলনদেবীর মূর্তি বাজেয়াপ্ত যোগীর পুলিশের, ধুন্ধুমার UP-তে

জোটসঙ্গী বিজেপির বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিল বিকাশশীল ইনসান পার্টি।

UP Police seize Phoolan Devi's statue before installation on death anniversary | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:July 26, 2021 8:49 am
  • Updated:July 26, 2021 4:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত ডাকাতরানি তথা পরবর্তীতে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ ফুলনদেবীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মূর্তি বসানো নিয়ে চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। আমিলহারা গ্রামে প্রয়াত ফুলনদেবীর মূর্তি বসানোর আগেই তা বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। শুধু তাই নয়, বিহারে (Bihar) বিজেপিরই (BJP) জোটসঙ্গী বিকাশশীল ইনসান পার্টির বিধায়ক তথা বিহারের মন্ত্রী মুকেশ সাহানিকে অনুষ্ঠানে যোগ দিতেও বাধা দেওয়া হল। বারাণসী বিমানবন্দর থেকেই বাইরে বেরতে দেওয়া হল না তাঁকে। আর এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধেই জাতিবিদ্বেষী মানসিকতার অভিযোগ তুললেন বিকাশশীল ইনসান পার্টির জেলা সভাপতি।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজনৈতিক উত্তাপ ততই বাড়ছে। বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা। জাতপাতের অঙ্ক। আর সেই জাতপাতের অঙ্কে ভর করেই ফের আলোচনার শিরোনামে ফিরে এসেছেন আজ থেকে কুড়ি বছর আগে নিহত ফুলন দেবী। বিশেষত নিষাদ সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী এবারের নির্বাচনে ফিরিয়ে আনতে চাইছে ফুলন দেবীকে। জাতিগত ভাবে যিনি ছিলেন নিষাদ সম্প্রদায়ভুক্ত। ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০ জন ঠাকুরকে হত্যা করে ত্রাস তৈরি করেছিলেন ফুলন দেবী। ১৯৯৪ সালে রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মুলায়েম সিং যাদব তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার পর সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দেন চম্বলের একসময়ের ডাকাতরানী ফুলন দেবী। এরপরেই তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। পরপর দু’দফায় সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হবার পর ২০০১ সালের ২৫ জুলাই মাত্র ৩৮ বছর বয়সে খুন হয়ে যান ফুলন দেবী। গত রবিবার ফুলনদেবীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর গ্রাম আমিলহারাতে একটি মূর্তি স্থাপনের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল বিকাশশীল ইনসান পার্টি। উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিহারের মন্ত্রী মুকেশ সাহানির। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানই ভেস্তে দিল পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফরের আগেই দলীয় সাংসদদের সঙ্গে ফের বৈঠকে অভিষেক]

জানা গিয়েছে, অনুষ্ঠানের আগেই মূর্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। বদোহির সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট আশিষ কুমার জানান, মূর্তি বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর যে জমিতে মূর্তিটি স্থাপন করার কথা ছিল, সেটি গ্রাম সমাজের। এছাড়া বিহারের মন্ত্রী বিকাশ সাহানিকেও তাই বারাণসী বিমানবন্দর থেকে বেরতে দেওয়া হয়নি। ফেরত পাঠানো হয়েছে। এমনকী এরপর মূর্তিটিও ফেরত পাঠানো হবে। এই ঘটনার পরই ক্ষোভ উগরে দেয় বিকাশশীল ইনসান পার্টির জেলা সভাপতি রাম কেবত। বিজেপির বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষী মানসিকতার অভিযোগ তুললেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, ঘটনার প্রতিবাদ করবে তাঁদের দল।

[আরও পড়ুন: Uttar Pradesh: ফের ‘হিন্দুত্ব’ তাস, ২০২২-এর নির্বাচনে অযোধ্যার প্রার্থী হচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement