ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে সবথেকে বেশি উত্তাল হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশে। ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ২১ জনের। সরকারি ও বেসরকারি প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতিও হয়েছে। এর ক্ষতিপূরণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশ মতো বিক্ষোভে জড়িত মানুষদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছে প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে। এরই মাঝে এই বিক্ষোভে সক্রিয়ভাবে হিংসা ছড়ানোর জন্য পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া(PFI)-কে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সেই সঙ্গে এই সংগঠনের ২৫ জন সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে হিংসায় জড়িত থাকার সমস্ত প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।
শুক্রবার এপ্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং বলেন, ‘রাজ্যে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া। এই কারণেই তাদের ২৫ জন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছি আমরা। ধৃতদের বিরুদ্ধে সমস্ত প্রমাণও রয়েছে আমাদের কাছে। PFI-কে নিষিদ্ধ করার অনুরোধ জানিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছি আমরা। তাতে উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভের নামে ওই সংগঠনের সদস্যরা কীভাবে হিংসায় উসকানি দিয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া আছে। ধৃতদের মধ্যে এই রাজ্যের দায়িত্ব থাকা ওয়াসিম-সহ ১৭ জন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার নামে লখনউ শহরে হিংসায় উসকানি দিয়েছে। মূলত তাদের ইন্ধনেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিল বিক্ষোভকারীরা।’
উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয় উত্তরপ্রদেশে। এই বিক্ষোভে হিংসা ছড়ানোর জন্য পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের শামলি জেলা থেকে মোট ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ১৪ জন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্য বলে জানা গিয়েছে। যদিও যোগী সরকার নিজেদের প্রতিহিংসা পূরণের জন্য বেছে বেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকেই গ্রেপ্তার করছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.