সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) হত্যার পর দুই সপ্তাহ কেটে গেলেও যোগীরাজ্যের গ্যাংস্টার নেতাকে নিয়ে নতুন সব চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। গত ১৫ এপ্রিল আতিক-আশরফ খুন হন। প্রয়াগরাজ হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছিল তাঁদের। তখনই পুলিশি নিরাপত্তা ডিঙিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয় দুই অপরাধীকে। সাংবাদিকদের সামনে হত্যালীলার পর গ্রেপ্তার করা হয় তিন দুষ্কৃতী লবলেশ, অরুণ এবং সানিকে। এদিন উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন ‘এনকাউন্টার’ এড়াতে নিজের উপর ভুয়ো হামলার ছক কষেছিলেন ‘গ্যাংস্টার’ সাংসদ আতিক।
যোগীরাজ্যের পুলিশের দাবি, আতিকের উপর নকল হামলা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁর ‘ডান হাত’ হিসেবে পরিচিত গুড্ডু মুসলিমকে। এর জন্য পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে ভাড়াও করা হয়েছিল। নাটক হামলার ছক এমন ভাবে কষা হয়েছিল যাতে করে সাপ মরে, আবার লাঠিও না ভাঙে। অর্থাৎ আতিকের গায়ে বিন্দুমাত্র আঁচড় লাগবে না, অথচ নিরাপত্তায় গাফিলতির দায় বর্তাবে পুলিশের উপরে। সবরমতী জেল থেকে প্রয়াগরাজের পথে ওই হামলার ছক কষা হয়েছিল।
যদিও আতিকের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় পুলিশ সজাগ থাকায়। দুর্ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল গ্যাংস্টার নেতার। যদিও নিরাপত্তা বলয় ডিঙিয়েই আতিক-আশরফের উপর হামলা হয়েছিল প্রয়াগরাজ হাসপাতালে। সেই সময় পুলিশি নিরাপত্তা আদৌ কাজে আসেনি। ঘটনাচক্রে আতিক এবং তাঁর ভাইয়ের খুনে যে তিন দুষ্কৃতী ধরা পড়েছেন, তাঁরা সকলেই পূর্বাঞ্চলের বলেই জানা গিয়েছে।
পুলিশ এখন জানার চেষ্টা করছে, পূর্বাঞ্চলের যে দুষ্কৃতীদের ভাড়ায় আনার কথা ছিল আতিকের গ্যাংয়ের, তাঁরাই কি আতিক হত্যাকারী লবলেশ, অরুণ এবং সানি? দুই ভাইকে খুনের জন্য কি সুপারি নিয়েছিল তাঁরা? সম্প্রতি আতিকের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, খুন হওয়ার দিন পুলিশ ভ্যান থেকে নামার সময় প্রায় চার সেকেন্ড থমকে দাঁড়ান তিনি, কিছু ইঙ্গিত করেন। প্রশ্ন উঠছে, কীসের ইঙ্গিত করছিলেন আতিক? সব মিলিয়ে আতিক-আশরফ হত্যার ঘটনায় ক্রমশ রহস্য বাড়ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.