সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারের হালকা বৃষ্টিতে হিতে-বিপরীত। আরও সঙ্গীন হয়েছে রাজধানী দিল্লির দূষণ পরিস্থিতি। এরই মধ্যে অদ্ভূত সমাধানসূত্র দিলেন যোগী আদিত্যনাথের মন্ত্রিসভার এক সদস্য! রবিবার উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সুনীল ভারালা বলেন, ‘‘নাড়া পোড়ানোর ফলে দূষণ হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। অথচ বহু বছর ধরে চাষিরা এভাবেই নাড়া পুড়িয়ে আসছে। এটাই প্রথা। এনিয়ে প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। তার পরিবর্তে সরকারের উচিত ইন্দ্রদেবকে তুষ্ট করার জন্য যজ্ঞ করা। তিনিই সবকিছু ঠিক করে দেবেন।’’
দিল্লি, গুরুগ্রাম এবং নয়ডার মানুষজনের অভিযোগ, বৃষ্টিতে লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। শ্বাস নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে, চোখ জ্বালা করছে সকাল থেকেই। পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় চাষিরা খড় পোড়ানো বন্ধ করেননি। সেই ধোঁয়া উড়ে আসছে দিল্লিতে। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল।পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দার সিং জানিয়ে দিয়েছেন, যারা খড় পোড়াবে তাদের জরিমানা দিতে হবে। আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। তবে তাতে খড় পোড়ানো বন্ধ হয়নি। বরং তাকে সমর্থন করছেন সুনীল ভারালার মতো কিছু রাজনীতিবিদ।কুসংস্কারাচ্ছন্ন এই নেতা পরামর্শ দিচ্ছেন যাগযজ্ঞের।
উল্লেখ্য, দূষণ নিয়ে রীতিমতো সমস্যায় নয়াদিল্লি। আজ থেকে ফের জোড়-বিজোড় প্রক্রিয়া চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। কিন্তু, তাতেও সমস্যা মিটবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ, দিল্লির দূষণের মূল দুটি কারণের একটি হল পাঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকদের এই খড় পোড়ানো। দিল্লিতে বাতাসে যে বিঁষ ছড়িয়েছে তাঁর ২৭ শতাংশের জন্য দায়ী পাঞ্জাব ও হরিয়ানার খড় পোড়ানোর ফলে তৈরি ধোঁয়া। দূষণের অপর কারণ যানবাহনের ধোঁয়া। জোড়-বিজোড় চালু হলে যানবাহণের ধোঁয়া কিছুটা কমবে। কিন্তু, পুরোপুরি স্বস্তি পেতে আগে খড় পোড়ানো বন্ধ করতে হবে। অথচ, কিছু রাজনীতিবিদ একে সমর্থন করছেন। যা অনেককেই অবাক করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.