সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা কালে জন সমাগমে গেলে কোভিড বিধি মেনে চলা আবশ্যিক। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার মতোই মাস্ক (Mask) পরাটাও সমান জরুরি। সেই নিয়ম না মানলে পদক্ষেপ করা যেতেই পারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। এক ব্যাংকে মাস্ক না পরা নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে বচসার শেষে সটান গুলিই চালিয়ে দিলেন মোতায়েন থাকা নিরাপত্তারক্ষী (Security Guard)! গুরুতর আহত ওই ব্যক্তিকে দ্রুত হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ঘটনার একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তি যাঁর নাম রাজেশ কুমার তিনি মেঝেতে পড়ে আছেন। তাঁর ঊরু দিয়ে রক্ত গড়াচ্ছে। জানা গিয়েছে, তিনি রেলে কর্মরত। ঘটনাস্থল ব্যাংক অফ বরোদা। ভিডিওতে শোনা যায়, অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষীকে রাজেশ কুমারের স্ত্রী প্রশ্ন করছেন, ‘‘তুমি ওকে গুলি করলে কেন?’’ পাশ থেকে আরেকজন বলে ওঠেন, ‘‘কীভাবে তুমি গুলি চালালে? এবার জেলে যেতে হবে তোমায়।’’ তখনও হাতে বন্দুক ধরে দাঁড়ানো নিরাপত্তারক্ষী উত্তর দেন, ‘‘ওঁকেও জেলে যেতে হবে। আমিও আহত হয়েছি। আমার বোতাম ছিঁড়ে গিয়েছে।’’
কিন্তু এত সামান্য কারণের জন্য এত বড় কাণ্ড ঘটালেন অভিযুক্ত? তাঁর অবশ্য দাবি, তিনি ইচ্ছে করে গুলি চালাননি। বচসা ও ধাক্কাধাক্কিতে গুলি চলে গিয়েছে। ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁর কথায়, ‘‘উনি মাস্ক পরেননি। আমি সেকথা বলার পর অবশ্য মাস্ক পরে নেন। কিন্তু এরপরই আমার সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে থাকেন। এই নিয়ে তর্ক শুরু হয়ে যায়। ধাক্কাধাক্কিও হতে থাকে। এরপরই আমার আঙুল ট্রিগারে লেগে গুলি চলে যায়।’’
যদিও আহত রাজেশ কুমারের আত্মীয়দের দাবি, মাস্ক পরার পরেও ওই নিরাপত্তারক্ষী ঢুকতে দেননি তাঁকে। বলতে থাকেন, এখন লাঞ্চ টাইম চলছে। পরে আসতে। আপাতত পুলিশ জেরা করছে অভিযুক্তকে। তবে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ রাজেশ কুমার প্রাথমিক চিকিৎসার পরে বিপন্মুক্ত হয়ে গিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে কিছুদিন থাকতে হবে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.