Advertisement
Advertisement
উত্তরপ্রদেশের ধর্ষণ

অমানবিক প্রশাসন! উত্তরপ্রদেশে ধর্ষিতা মেয়েকে পিঠে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন বাবা

নতুন বিল্ডিংয়ে স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার ছিল না, সাফাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

UP Man Forced To Carry Daughter Who Was Allegedly Raped To Hospital
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:December 19, 2019 5:40 pm
  • Updated:December 19, 2019 8:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ যেন উত্তরপ্রদেশের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে গিয়েছে! পরিস্থিতি যা তাতে প্রতিদিন অন্তত একটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেই সেখানে। বিষয়টি গা সওয়া হয়ে গিয়েছে যোগী প্রশাসনেও! কিন্তু, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই প্রশাসনের অমানবিকতার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সবাই। সরকারি হাসপাতালে কোনও স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার ছিল না। তাই এক ধর্ষিতা কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পিঠে বয়ে আনতে হয় তাঁর বাবাকে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের এটোয়া জেলার মারহেরা থানা এলাকায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৩ ডিসেম্বর ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে জোর করে নিজের ঘরে নিয়ে যায় প্রতিবেশীর ১৯ বছরের ছেলে। তারপর বেশ কয়েকঘণ্টা ধরে তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি প্রতিরোধ ও ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করায় তার পা ভেঙে দেয়। বহুক্ষণ পর সুযোগ পেয়ে নিজের বাড়িতে যায় মেয়েটি। তারপর পরিবারের লোকেদের সমস্ত ঘটনার কথা খুলে বলে। তার ভিত্তিতে পরেরদিন মারহেরা থানায় এফআইআর(FIR) দায়ের করে পুলিশ। আর ১৫ তারিখ অভিযুক্ত অঙ্কিত যাদবকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেয়েটিকেও মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: গুরুগ্রামে বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার শিলিগুড়ির বিমান সেবিকার ঝুলন্ত দেহ]

 

আর বিপত্তি শুরু হয় তারপরই। বিচারকের সমানে জবানবন্দি দেওয়ার পরেই মেয়েটি মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এর জন্য এক মহিলা কনস্টেবলকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়। সরকারি হাসপাতালে কোনও স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ার ছিল না। তাই মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে নিজের পিঠে করে বয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয় তার বাবা। এই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই বিতর্ক শুরু হয়। নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও।

[আরও পড়ুন: CAA’র পক্ষে সওয়াল করেছিলেন মনমোহন! ভিডিও টুইট করে দাবি বিজেপির]

 

এপ্রসঙ্গে এটোয়া মেডিক্যাল কলেজের প্রধান ড. অজয় আগরওয়াল বলেন, এই ঘটনার কথা শোনার পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখি আমরা। তখন জানা যায় হাসপাতালে একটি নতুন বিল্ডিং হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও কর্মচারী নিয়োগ করা হয়নি। নেই স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ারের ব্যবস্থাও। তবে এই ঘটনার পরেই সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement