ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি হত্যাকাণ্ডের রেশ এখনও টাটকা। সামনে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারই মাঝে আবারও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার নিজের প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুনের পর দেহ ৬টি টুকরো করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের আজমগড়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃত প্রিন্স যাদব উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের বাসিন্দা। এলাকারই বাসিন্দা আরাধনা নামে এক তরুণীর সঙ্গে বছরখানেক সম্পর্ক ছিল তার। তবে সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়। অন্যত্র বিয়েও ঠিক হয়েছে তরুণীর। তা মেনে নিতে পারছিল না যুবক। বারবার আগের সম্পর্কে ফিরে আসার জন্য তরুণীকে চাপও দিচ্ছিল সে। তবে কোনও কথাতেই চিঁড়ে ভেজেনি। অভিযোগ, এরপর গত ৯ নভেম্বর প্রাক্তন প্রেমিকা আরাধনার সঙ্গে দেখা করতে চায় সে। আরাধনাও রাজি হয়ে যান। প্রিন্সের সঙ্গে দেখা করার পর তার বাইকে চড়ে বসেন। দু’জনে বাইকে চড়ে স্থানীয় একটি মন্দির সংলগ্ন আখখেতে যায়। তারপর থেকে নিখোঁজ তরুণী। আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। তরুণীর পরিবারের লোকজন নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এরপর গত ১৫ নভেম্বর পশ্চিমী গ্রামের পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে প্লাস্টিকবন্দি দেহাংশ উদ্ধার করা হয়। তদন্ত করে দেখা যায়, এই দেহটি আরাধনার। কে এমন নৃশংসভাবে খুন করতে পারে তরুণীকে, সে প্রশ্ন দানা বাঁধতে শুরু করে। আরাধনার পরিবারের লোকজনের দাবি, একাজ করেছে প্রিন্স। তড়িঘড়ি তাকে আটক করে পুলিশ। প্রিন্স পুলিশি ধরপাকড়ে বাধা দেয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও চালায় সে। প্রথমে জেরায় কিছুই বলতে চায়নি সে। যদিও লাগাতার জেরার মাঝে নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি প্রিন্স। খুনের কথা কার্যত স্বীকার করে নেয় সে। জানায়, মন্দিরে দেখা করতে যাওয়ার নামে ডেকে পাঠায় আরাধনাকে। এরপর নিজের খুড়তুতো ভাইয়ের সাহায্যে আখখেতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে। খুনের পর দেহ মোট ৬টি টুকরো করে কাটা হয়। দেহাংশ প্লাস্টিকবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় কুয়োয়।
আজমগড়ের পুলিশ সুপার অনুরাগ আর্য জানান, অভিযুক্ত প্রিন্স যাদব তার বাবা-মা, খুড়তুতো ভাই এবং পরিবাররে অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে এই খুনটি করে। তাকে প্রায় সকলেই কমবেশি সাহায্য করেছে। ধৃতের কাছে ওয়ান শটার বন্দুক এবং একটি কার্তুড বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব নিহতের পরিবারের লোকজন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.