সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনে আর সবুর করতে পারলেন না পাত্র। এখনই করতে হবে বিয়ে! তাই সাইকেল চালিয়ে একশ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিল উত্তর প্রদেশের এক যুবক। বিয়ে করে স্ত্রীকে নিয়ে ফিরলেনও সাইকেল চালিয়েই।
উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের বাসিন্দা কালকু প্রজাপতি। করোনা সংক্রমণের অনেক আগে থেকেই পছন্দের পাত্রী রিঙ্কির সঙ্গে বিয়ের তারিখ স্থির করা ছিল। কিন্তু দেশে মারণ ভাইরাসের দাপট বেড়ে যাওয়ায় বাতিল হয়ে যায় কালকু ও রিঙ্কির সাধের বিয়ের অনুষ্ঠান। তাই আর অপেক্ষা না করে যেমন ভাবা তেমন কাজ। সাইকেল নিয়ে একাই বিয়ে করতে বেরিয়ে পড়লেন বছর ২৩-এর এই যুবক। প্রায় একশো কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে মোহাবা জেলার পুনিয়া গ্রামে রিঙ্কির বাড়ি যায় কালকু। পেশায় কৃষক কালকু জানান, “আমরা বিয়ে করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি পাচ্ছিলাম না। তাই সাইকেলে করে যাওয়া ছাড়া আমার কাছে কোনও উপায় ছিল না। আমাদের বিয়ের কার্ডও আত্মীয়দের মধ্যে বিলি করা হয়ে গিয়েছিল। তাই নির্ধারিত দিনে বিয়ে করার প্রয়োজন ছিল” জানা যায় দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনার পর কালকু বাবার সঙ্গে চাষের হাল ধরেন। প্রায় পাঁচ মাস আগেই এই বিয়ের সমস্ত আয়োজন করা হয়। তাই বিয়ের দিন রিঙ্কির পরিবারের তরফ থেকে কালকুকে ফোন করা হলে তিনি বিয়ে করতে হাজির হন সাইকেল চালিয়েই। কালকুর কথায়, “আমার বাইক থাকলে ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) না থাকায় সাইকেল চালিয়েই হাজির হই। তবে লকডাউনের নেয়ম মেনে মুখে রুমাল বেধে গোটা পথ সাইকেল চালিয়েছি।”
গ্রামের একটি মন্দিরকে একটি বিয়ের আয়োজন করা হয়। সেখানে একটি ক্যামেরায় বিয়ের সমস্ত ভিডিও রেকর্ড করা হয়। পাত্রী ও পাত্রী দুজনেই বিয়ের সময় মুখ ঢেকেই বসেছিলেন। তবে বিয়ের পর স্ত্রীকে নিয়ে ফেরার সময় বেগ পেতে হয় নতুন পাত্রকে। সারা রাস্তা সাইকেলে করে স্ত্রীকে নিয়ে একশো কিলোমিটার পার হওয়া মুখের কথা নয়। কালকু জানান, ” বাড়ি ফিরে প্রচন্ড পায়ের ব্যথায় ভুগেছিলাম। ঘুমিয়েও স্বপ্নের ঘোরে মনে হচ্ছে সাইকেল চালাচ্ছি। মা প্রচন্ড অসুস্থ থাকায় আমায় তাড়াহুড়ো করে বিয়ে করতেই হল। আমার স্ত্রী থাকলে মাকে দেখার কেউ থাকবে।” তবে লকডাউনে কালকু প্রজাপতি যখন বিয়েটা সেরেই ফেলেছেন তখন লকডাউন থাকল না উঠল তাতে তাঁর আর কি য়ায় আসে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.