সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্লাজমার বদলে রোগীকে দেওয়া হয়েছিল মুসম্বির রস। পরিবারের অভিযোগ, এর পরেই মৃত্যু হয় ওই ডেঙ্গু আক্রান্ত ওই রোগীর। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। এবার ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। নোটিস জারি করে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের প্রশ্নের জবাব দিতে না পারলে বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে হাসপাতালটিকে।
উত্তরপ্রদেশে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গু (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার রাজ্যের সমস্ত ডাক্তারদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল যোগী সরকার। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই সামনে আসে অভূতপূর্ব অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্লাজমার প্যাকের ভিতরে রয়েছে হলুদ মুসম্বির রস। ভিডিওয় এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, প্লাজমার ঘাটতি দেখা দিলে মুসম্বির রস সরবরাহ করার চক্রের পিছনে রয়েছে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্তরাও। তবে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
প্রয়াগরাজের বেসরকারি হাসপাতাল ‘গ্লোবাল হসপিটাল’ কর্তৃপক্ষকে কড়া নোটিস ধরিয়েছে প্রশাসন। আগামী তিন দিনের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে। প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নোটিস বলা হয়েছে, পুরসভার কোনওরকম অনুমতি ছাড়া বেআইনি ভাবে হাসপাতালের ভবন নির্মাণ হয়েছে। শুক্রবারের মধ্যে সেটিকে ফাঁকা করতে হবে। প্রসঙ্গত মুসম্বি কাণ্ডের পর গত সপ্তাহে সিল করে দেওয়া হয় হাসপাতালটিকে। অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় রোগীদের। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর আজ ‘বুলডোজার নোটিস’ জারি করল প্রয়াগরাজ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি।
এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কড়া চিঠির জবাব দেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এদিকে প্রয়াগরাজ প্রশাসনের আচমকা তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, এতদিন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি, এখন বলা হচ্ছে হাসপাতাল ভবন বেআইনি, রোগীদের চিকিৎসার নথি নেই। প্রশাসনের চোখের সামনে এমন ঘটনা এতদিন ধরে চলছিল কী করে? এই বিষয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছে যোগী প্রশাসন। তবে পুলিশের তরফে বলা হয়েছে রোগীকে মোটেও মুসম্বির রস দেওয়া হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.