সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-রাজনীতি আর উত্তরপ্রদেশ, যেন সমার্থক। ভোট আসতেই বেওয়ারিশ গরুদের স্থায়ী ঠিকানার ব্যবস্থা করতে মরিয়া যোগী সরকার। আর সেকারণে, সাধারণ মানুষের উপর ধার্য করা হচ্ছে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সেস। যার পোশাকি নাম গো-কল্যাণ সেস। রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বা বেওয়ারিস গরুর জন্য রাজ্যজুড়ে গোশালা বানাতে চায় উত্তরপ্রদেশ সরকার। সেই প্রকল্পের খরচ জোগানোর জন্যই এই অতিরিক্ত সেস চাপানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
উত্তরপ্রদেশ তথা গোবলয়ের একটা জ্বলন্ত সমস্যা বেওয়ারিশ গরু। এমনিতে গোবলয়ের বহু মানুষ গরুকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করলেও বহু ‘গোমাতা’-ই গৃহহীন। তাদের নির্দিষ্ট কোনও আশ্রয় নেই। এর ফলে তারা রাতভর কৃষকের ফসলের ক্ষতি করে। লোকসানের মুখে পড়তে হয় কৃষককে। এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে এবার রাজ্যজুড়ে গোশালা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তররপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। সরকারি সূত্রের খবর রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় একটি করে এরকম গোশালা তৈরি করা হবে। প্রতিটি গোশালায় ঠাঁই হবে অন্তত ১০০০টি গরুর। সেই মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে সিলমোহর দিয়েছে যোগী সরকার। এই আশ্রয় স্থলগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘গোবংশ আশ্রয় স্থল।’ পাশাপাশি গরুর খাবারের জন্য তৃণভূমি রক্ষা করতে দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ এবং তৃণভূমি পরিচর্যার নির্দেশও দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
এই সরকারি গোশালাগুলি নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কিন্তু সেই সঙ্গে প্রয়োজন রক্ষণাবেক্ষণের খরচও। সেই খরচ বাবদ রাজ্যের বিভিন্ন লাভজনক সংস্থা, বাজার কমিটি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের আয়ের উপর ২ শতাংশ করে সেস ধার্য করা হবে। এই সেসের টাকা দিয়েই গোশালার রক্ষণাবেক্ষণ এবং কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহায়তায় গোশালাগুলি স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করবে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সাধারণ মানুষের পকেট কেটে গরুদের জন্য গোশালা নির্মাণ কতটা যুক্তিযুক্ত?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.