সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ১ সেপ্টেম্বর শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খানকে (Kafeel Khan) মুক্তি দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। এবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) যোগী সরকার। প্রসঙ্গত, কাফিল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল তিনি সিএএ বিরোধী যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তা উসকানিমূলক। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় হাই কোর্ট।
কী জানিয়েছিল হাই কোর্ট? কাফিল খানের গ্রেপ্তারিকে ‘বেআইনি’ আখ্যা দিয়ে আদালত সাফ জানিয়েছিল, কাফিল খানের বক্তৃতায় এমন কিছু ছিল না যার ভিত্তিতে বলা যায় তিনি হিংসায় মদত দিচ্ছেন। এবার সেই রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে উত্তরপ্রদেশ সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে। কী বলা হয়েছে তাতে? যোগী সরকারের দাবি, কাফিল খান এর আগেও আইন ভেঙেছেন। চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ কেসও হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গত বছর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ-র বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন কাফিল খান। সেই সময়ই তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ আনা হয়। ২৯ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। যদিও প্রথমেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ ছিল, তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা তৈরি করতে চেয়েছেন। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি জামিন পেয়ে গেলে পরে তাঁকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্ত করা হয়।
২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের বিআরডি মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেন সিলিন্ডারের ঘাটতি থাকায় বহু শিশুর মৃত্যু হয়। সেই সময় কাফিল খানকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তিনি অধিকাংশ অভিযোগের ক্ষেত্রেই নির্দোষ প্রমাণিত হন। সেই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেলেও এরপরই তিনি আরও বড় সমস্যায় পড়েন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিতে গিয়ে।
গত সেপ্টেম্বরে হাই কোর্টের রায়ে মথুরা জেল থেকে ছাড়া পান কাফিল। সেই সময়ও তিনি যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) কটাক্ষ করে বলেন, রাজধর্ম মেনে চলছেন না উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের কাছে স্টেট মেডিক্যাল সার্ভিসের চাকরিটিও ফেরত দেওয়ার আরজি জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.