ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়েছিল গোটা দেশ। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), দিল্লি (Delhi), মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মতো একাধিক রাজ্যে জারি ছিল মৃত্যুমিছিল। যোগী প্রশাসনের বিরুদ্ধে তো একাধিক গাফিলতির অভিযোগও উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে এবার আরও মারাত্মক ঘটনার কথা সামনে এল। চিকিৎসককে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ না দেওয়ায় পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল না কোভিডে মৃত ব্যক্তির দেহ। ৭৫ দিন হাসপাতালের মর্গেই পড়ে রইল তা। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় রীতিমতো অবাক হয়েছেন অনেকেই। যদিও শেষ পাওয়া খবরে, বিতর্কের পরই ওই ব্যক্তির সৎকার করেছে হাপুর প্রশাসন।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরেশ নামে বাস্তির এক বাসিন্দা গত ১০ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাপুরে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে মেরঠের লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই গত ১৫ এপ্রিল তিনি মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে বাস্তি থেকে ৭০০ কিলোমিটার দূরে মেরঠে আসেন নরেশের স্ত্রী গুড়িয়া। কিন্তু স্বামীর দেহ নিতে গিয়েই বিপাকে পড়েন। গুড়িয়ার অভিযোগ এরপর ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাঁর কাছে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। কিন্তু গরিব পরিবার হওয়ায় গুড়িয়া সেই টাকা দিতে পারেননি। এরপরই বাড়ি ফিরে আসেন।
এদিকে, ঘটনার পর ৭৫ দিন কেটে গেলেও নরেশের দেহ জিএস কলেজের মর্গেই পড়েছিল। শেষপর্যন্ত একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এই খবরটি প্রকাশিত হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নরেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। যদিও ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা, এমনটাই দাবি করা হয়েছে হাপুর প্রশাসনের তরফে। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের কেউ দেহ নিতে না আসার কারণেই সেটি মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পুলিশকে ওই পরিবারের খোঁজ করতেও বলা হয়। সেই মতোই নাকি নরেশের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। যদিও ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন হাসপাতালে দেহ পড়ে থাকলেও, কয়েকদিন আগেই পুলিশের তরফ থেকে তাঁর কাছে ফোন এসেছিল। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাই রীতিমতো বিপাকে যোগী প্রশাসন। বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনাও শুনতে হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.