সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার পরে এই প্রথম কোনও মহিলার ফাঁসির সাক্ষী হতে চলেছে দেশ। বিরল অপরাধে দোষী সাব্যস্ত উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শবনমের ফাঁসির (Death Sentence) সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও (Ram Nath Kovind)। এখন সময় কেবল ডেথ ওয়ারেন্টের। সেটা পেয়ে গেলেই ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আপাতত তাই যোগীরাজ্যের মথুরায় (Mathura) শুরু হয়ে গিয়েছে ফাঁসির প্রস্তুতি।
উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের একমাত্র ফাঁসির ঘরটি রয়েছে মথুরার জেলে। যদিও এখনও ফাঁসির চূড়ান্ত তারিখ স্থির হয়নি। তবুও ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়ে গিয়েছেন মীরাটের বাসিন্দা পবন জহ্লাদ। নির্ভয়ার ধর্ষকদের তিনিই ফাঁসি দিয়েছিলেন। এই ফাঁসির দায়িত্বও রয়েছে তাঁর উপরই। দু’বার ফাঁসিকাঠও পরীক্ষা করা হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কেন ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে শবনমকে? ২০০৮ সালের এপ্রিল মাসে নিজেরই পরিবারের সাতজন সদস্যকে কুঠার দিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দেয় সে। একাজে তাকে মদত জুগিয়েছিল তার প্রেমিক। আমরোহা জেলার হাসানপুরের বাসিন্দা ধনী পরিবারের সদস্য শবনমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল স্থানীয় ওই যুবকের। ইংরেজি ও ভূগোলে স্নাতকোত্তর পাশ করেছিল সে। স্কুলের গণ্ডি না পেরনো সেলিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক মেনে নেয়নি তার বাড়ির লোকেরা। আর সেই কারণেই প্রতিশোধস্পৃহায় বাবা, মা, দশ মাসের ভাইপো-সহ সাতজনকে নৃশংস ভাবে মেরে ফেলে শবনম। এই অপরাধকে ‘বিরল’ আখ্যা দিয়ে তাকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত।
মথুরার যে ফাঁসিঘরে শবনমের ফাঁসি হওয়ার কথা, সেটির বয়স প্রায় দেড়শো বছর। কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে কোনও ফাঁসি হয়নি এখানে। জেলের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট শৈলেন্দ্রকুমার মৈত্রেয়র কথায়, ”এখনও ফাঁসির দিন চূড়ান্ত নয়। কিন্তু আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। ডেথ ওয়ারেন্ট পেলেই শবনমকে ফাঁসি দেওয়া হবে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, বক্সার থেকে ফাঁসির দড়ি আনানো হচ্ছে। পবন জহ্লাদ ফাঁসিঘর পরীক্ষা করে ফাঁসি দেওয়ার লিভার ও বোর্ডে কিছু পরিবর্তন করার জন্য বলেছেন জেল কর্তৃপক্ষকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.