সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগগুরু বাবা রামদেব বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে নিজের অনুগামীদের বিজেপিকে সমর্থন করার নির্দেশও দিয়েছিলেন যোগগুরু। কিন্তু সেই মধুচন্দ্রিমায় কী এবার দাঁড়ি পড়তে চলেছে ? প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন খোদ বাবা রামদেবই । যোগীর রাজ্যে প্রস্তাবিত ৬ হাজার কোটি টাকার খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা বন্ধ করতে চলেছে রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। পতঞ্জলির অভিযোগ রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনওরকম সাহায্য পাচ্ছে না সংস্থাটি। খবর প্রকাশ্যে আসার পরই অবশ্য তড়িঘড়ি পদক্ষেপ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
নয়াদিল্লির কাছে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৪৫০ একর জমির উপর পতঞ্জলির কারখানাটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল। পতঞ্জলির দাবি ছিল কারখানা তৈরি হলে প্রতিবছর ২৫ হাজার কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন সম্ভব। সেই সঙ্গে বার্ষিক দশ হাজার বেকার যুবক যুবতীর চাকরির সংস্থান হবে সংস্থাটিতে। তাছাড়া অনুসারী শিল্পের উপর ভর করে ব্যাপক উপকৃত হবেন স্থানীয়রা। এবছরের জানুয়ারি মাসে প্রথম কারখানাটি তৈরির আবেদন করে বাবা রামদেবের সংস্থা। কিন্তু আবেদনপত্রের সঙ্গে ব্যাংক ঋণ বা জমির কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি পতঞ্জলি। নির্ধারিত নথিপত্র জমা দেওয়ার জন্য একমাসের সময় দেওয়া হয় রামদেবের সংস্থাকে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত কাগজপত্র জমা দিতে পারেনি পতঞ্জলি।
পতঞ্জলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আচার্য বালাকৃষ্ণের দাবি, ‘রাজ্য সরকার কোনওরকম সাহায্য না করার ফলেই নির্ধারিত সময়ে কাগজপত্র জমা দিতে পারেননি তাঁরা। রাজ্য সরকার সাহায্য না করলে কারখানা তৈরি সম্ভব নয়।’ পতঞ্জলি এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেন যোগী। দ্রুত বাবা রামদেবকে ফোন করেন তিনি। উত্তরপ্রদেশের এক মন্ত্রী জানিয়েছেন,‘বাবা রামদেবের সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। পতঞ্জলির কারখানা খোলার ব্যাপারে সবরকম সাহায্য করতে রাজি সরকার। দ্রুত মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে।’ রাজনৈতিক মহলের দাবি পতঞ্জলির কারখানা বন্ধ হলে উত্তরপ্রদেশ সরকার শুধু আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাই নয়, রাজনৈতিকভাবেও ক্ষতি হতে পারে বিজেপির। বাবা রামদেবের সংস্থার সঙ্গে এই মতানৈক্য ১৯-এর আগে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে তাঁর সমর্থকদের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.