ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ করোনা ভাইরাসের (Covid-19) হাত থেকে বাঁচতে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়া আবশ্যিক। আর তাই টিকা নিতে সবাইকেই উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক বিজেপি নেতা ইতিমধ্যে করোনার পাঁচটি ডোজ নিয়ে ফেলেছেন। বাকি ষষ্ঠ ডোজ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সারধানা এলাকায়।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মে মাসেই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ফেলেছিলেন সারধানা এলাকার বিজেপি বুথ সভাপতি রামপাল সিং। কিন্তু টিকার শংসাপত্র ডাউনলোড করতেই ভুলে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি এক সহকর্মী তাঁকে জানান, কোথাও যেতে গেলে প্রয়োজন পড়ছে টিকাগ্রহণের শংসাপত্রের। শুনেই তড়িঘড়ি ডাউনলোড করলেন সেই সার্টিফিকেট আর তা দেখেই চোখ কপালে উঠল ওই বিজেপি নেতার।
টিকার সার্টিফিকেটে নাম বা বয়স ভুল হচ্ছে হামেশাই কিন্তু তাই বলে ডোজের হিসাবেও গড়মিল। নিয়ম মতোই করোনা টিকার দুটি ডোজ নিলেও সার্টিফিকেটে লেখা, ওই ব্যক্তিকে ৫টি ডোজ দেওয়া হয়েছে করোনা টিকার, বাকি কেবল ষষ্ঠ ডোজ। এই ধরনের ভুল দেখেই বেজায় চটেছেন বিজেপি নেতা। তাঁর অভিযোগ, এটা একধরনের চক্রান্ত। হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্য ওই নেতা জানিয়েছেন, তিনি গত ১৬ মার্চ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেন এবং ৮ মে দ্বিতীয় ডোজ নেন। সম্প্রতি টিকা সার্টিফিকেট ডাউনলোড করতেই দেখেন, ইতিমধ্যেই করোনা টিকার পাঁচটি ডোজ দেওয়া হয়েছে তাঁকে এবং আগামী ডিসেম্বরে তিনি ষষ্ঠ ডোজ নেবেন।
টিকা সার্টিফিকেটে এই ভুল দেখেই তিনি অভিযোগ দায়ের করেন এবং স্বাস্থ্যবিভাগের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ আনেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি আরও জানান, টিকাগ্রহণের শংসাপত্রে প্রথম দুটি ডোজের তারিখ ঠিক থাকলেও বাকি ডোজগুলির দিন ভুল রয়েছে। ১৫ মে তৃতীয় ডোজ এবং গত ১৫ সেপ্টেম্বর চতুর্থ ও পঞ্চম ডোজ নিয়েছেন, শংসাপত্রে এমনটাই দেখাচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, দুটি ডোজ নেওয়ার পরও তাঁর নামে কী করে আরও তিনটি ডোজ নেওয়া হয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে? টিকাকেন্দ্রে তাঁর নাম ও তথ্য জালিয়াতি করে অন্য কেউ টিকা নিয়েছেন কিনা এবং সরকারি পোর্টালেও কী করে এক ব্যক্তির নামে ৫টি টিকা ইস্যু হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.