Advertisement
Advertisement
যোগী আদিত্যনাথ

‘বিনা বেতনে কাজ নয়’, লকডাউনের মধ্যে ধর্মঘটে উত্তরপ্রদেশের অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীরা

নিরাপত্তাহীনতায় কাজ করতে চাননা কর্মীরা।

UP ambulancde worker stop working from today Afternoon
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:March 31, 2020 7:05 pm
  • Updated:May 17, 2020 8:10 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২ মাসের বেতন বাকি থাকায় উত্তরপ্রদেশে আজ থেকে কাজ করে বন্ধ করে দিল অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশন। বেতন তো দূরে থাক এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রুখতে তাদের জন্য কোনও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন তাঁরা। ফলে আজ দুপুর থেকেই ধর্মঘটের ডাক দেয় এই অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা।

দেশজুড়ে জারি লকডাউন। এমতাবস্থায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে যারা সবার আগে করোনা আক্রান্তদের কাছে গিয়ে পৌঁছন, তারা হলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালকেরা। অথচ যোগী রাজ্যে তাদের জন্য নেই কোনও সুব্যবস্থা। করোনা মোকাবিলায় এই প্রথম সারির যোদ্ধারা এতদিন পড়ে রয়েছেন অবহেলায়, অনাদরে। বাকি রয়েছে তাদের ২ মাসের বেতনও। তবে সেগুলোকেও উপেক্ষা করেও প্রতিদিন ১৬-১৮ ঘণ্টা করেও গাড়ি চালাচ্ছেন কেউ কেউ। এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে ছুটে গিয়েছেন রোগী নিয়ে। অথচ তাদের কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেয়নি যোগী আদিত্যনাথের সরকার। মহামারী থেকে নিজেদের ও নিজেদের পরিবারকে বাঁচাতে তাই ধর্মঘটের ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশ অ্যাম্বুলেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। অ্যাম্বুল্যান্স কর্মীদের অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে,”তাঁদের দাবি কেউ শুনছে না, নিশ্চিত করা হচ্ছে না বেতন ও নিরাপত্তা। তাই এভাবে তাঁরা কাজ করবেন না।”

Advertisement

সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের ১০২ এবং ১০৮ জরুরি অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস অপারেট করে জিভিকে(GVK)নামের একটি বেসরকারি সংস্থা। রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তারা। রাজ্যকে সাড়ে চার হাজার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করে তারা। চালক এবং জরুরি টেকনিশিয়ান মিলিয়ে মোট ১৭ হাজার জন কাজ করেন ওই সংস্থায়। তাঁরাও বেসরকারি সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মধুকর সিং নামের এক চালক বলেন,”আমাদের না আছে স্যানিটাইজার, না আছে গ্লাভস বা মাস্ক। দু’মাস ধরে বেতনও পাইনি আমরা। আমরা শুনেছি, অ্যাম্বুল্যান্স পিছু ১৫টি করে মাস্ক দিয়েছে সরকার, আমরা সেসব পাইনি। আমাদের গাড়িগুলোও স্যানিটাইজ করা হচ্ছে না, অথচ রোগীর পর রোগী বয়ে চলেছি আমরা। এই অবস্থায় অক্সিজেন ভরতে গেলে সেখানেও বাধা পাচ্ছি।”এরপরেই অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে সংস্থাকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, তাঁরা কাজ করবেন না এভাবে।

[আরও পড়ুন:করোনার বিরুদ্ধে ছেঁড়া রেনকোট ও হেলমেট নিয়ে লড়ছেন চিকিৎসকরা, সমালোচনা নেটদুনিয়ায়]

লকডাউনের পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে অ্যাম্বুলেন্স সংস্থার কর্মীরা কাজ না করলে কীভাবে অসুস্থ মানুষেরা হাসপাতালের দোরগোড়ায় পৌঁছবেন তা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে জনগনের মধ্যে। অন্যদিকে এই সমস্যার সমাধান করতে সরকার যতদিন না সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছেন ততদিন পর্যন্ত বিনা বেতন ও করোনা প্রতিরোধের ন্যূনতম সুরক্ষা ছাড়া কাজ করতে রাজি নন অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা। তাই মানুষের প্রয়োজনে সবাইকে এক করতে যোগী সরকারের সাহায্যের আশায় ক্ষুব্ধ অ্যাম্বুল্যান্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা।

[আরও পড়ুন:করোনা মোকাবিলায় ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ যোগী! প্রকাশ্যে ভর্ৎসনার পর সরালেন আমলাকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement