মানুষের মতো গুরুত্বপূর্ণ গরুরাও, যোগী আদিত্যনাথের মন্তব্যে বিতর্ক

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণপিটুনি ইস্যুতে এমনিতেই অস্বস্তিতে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুত্ববাদীদের ‘পোস্টার বয়’ যোগী আদিত্যনাথ। ক্রমবর্ধমান গণপিটুনি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যোগী বললেন, “মানুষের মতো গরুরাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষকে যেমন নিরাপত্তা দেওয়া জরুরি, তেমনি গরুদেরও নিরাপত্তা দেওয়া জরুরি।” স্বাভাবিকভাবেই যোগীর মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীরা বলছেন, যোগীর মন্তব্যেই প্রমাণিত তাঁর কাছে মানুষের থেকে গরু বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

[ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এড়াতে উদ্যোগ, ১৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট কিনছে কমিশন]

উত্তরপ্রদেশ তথা গোটা দেশে ক্রমবর্ধমান গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে বলতে গিয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন গোরক্ষনাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। যোগী বলেন, গণপিটুনির ঘটনাগুলিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। যদি গণপিটুনির কথায় বলতে হয়, তাহলে ১৯৮৪-র দাঙ্গার কথা বলতে হবে। সে তুলনায় এই ঘটনাগুলি ছোট। বিরোধীরা তিল থেকে তাল করার চেষ্টা করছে।” এরপরই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রত্যেককেই নিরাপত্তা দেব। তবে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব শুধু সরকারের নয়, প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক জাতি, প্রত্যেক ধর্মকেই এই দায়িত্ব নিতে হবে। একে অপরের ধর্মীয় আবেগকে শ্রদ্ধা করতে হবে। মানুষকে বাঁচানো যদি গুরুত্বপূর্ণ হয় তাহলে গরুকে বাঁচানোও গুরুত্বপূর্ণ। দু’জনেরই প্রকৃতিতে সমান অবদান আছে, তাই দুজনকেই রক্ষা করতে হবে।”

[উনিশের আগে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে রাশ টানা প্রয়োজন, বলছে অক্সফোর্ড]

কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের পর থেকে ২০১৮, সালের ৩ মার্চ পর্যন্ত গোটা দেশে মোট ৪০টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। গত কয়েকমাসে উত্তরপ্রদেশে মোট ১১টি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। কদিন আগেই সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়ে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়, তাই গণপিটুনি রুখতে উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্যগুলিকেই। অথচ, বিজেপি শাসিত এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ মন্তব্যে তীব্র ক্ষোভ বিরোধী শিবিরে।