সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উন্নাও কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত বহিষ্কৃত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। শুক্রবার দিল্লির তিসহাজারি আদালতের বিশেষ সিবিআই এজলাসে বিচারক ধর্মেশ শর্মা তার সাজা ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কুলদীপকে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিচারকের কাছে আবেদন করেন, সেনেগারকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। দোষীকে অপেক্ষাকৃত কম শাস্তি দেওয়া হলে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। পরবর্তীকালে যাতে এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সেনেগারের সাজা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে, সেই অনুরোধই রেখেছেন আইনজীবী। অন্যদিকে, দোষী বিধায়কের আইনজীবী আদালতে জানান, কুলদীপের বর্তমান আর্থিক অবস্থা খুব সঙ্গীন। তাই তিনি নির্যাতিতাকে ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে অপারগ। একইসঙ্গে আইনজীবী এও আবেদন করেন যে, জেলে কুলদীপের ব্যবহার খুই ভাল ছিল তাই তাকে যেন কম শাস্তি দেওয়া হয়।
কিন্তু এদিন কুলদীপের আইনজীবীর কোনও আবেদনই ধোপে টেকেনি আদালতে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয় তাকে। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় গোড়া থেকেই নাম উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের বাঙ্গেরমউয়ের চারবারের বিধায়ক কুলদীপ সেনেগারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে একাধিক পন্থা অবলম্বন করে বিধায়ক। এমনকী সাক্ষী লোপাটের জন্য ষড়যন্ত্র করে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ধর্ষিতার বাবা ও আরেক আত্মীয়কে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হয়।
কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। পরবর্তী সময়ে আদালতে কুলদীপের বিরুদ্ধে পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। এই মামলার জেরে কুলদীপের বিধায়ক পদ বাতিল হয়ে যায়। দল থেকেও বহিষ্কার করা হয় তাকে। কুলদীপকে সাহায্য করার অভিযোগে মামলা হয় তার সঙ্গী শশী সিংয়ের বিরুদ্ধেও। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ না থাকায় আদালত তাকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। ধর্ষণ মামলায় পুলিশের ভূমিকায় আস্থা রাখতে না পারায় সিবিআইয়ের আবেদন জানায় কিশোরীর পরিবার। তা মঞ্জুর হয়। তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। শুক্রবার শেষপর্যন্ত সাজা ঘোষণা হয় কুলদীপের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.