সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের সংযুক্তিকরণের নীতি, বেতন কাঠামোর পুনর্বিন্যাস, সপ্তাহে পাঁচদিন কাজ-সহ একাধিক দাবিতে ফের ব্যাংক ধর্মঘটের পথে ব্যাংক কর্মীদের ৯টি সর্বভারতীয় সংগঠন। আগামী ৩০ জানুয়ারি সোমবার এবং এবং ৩১ জানুয়ারি মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এটিএমগুলিও (ATM) ধর্মঘটের আওতাভুক্ত বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়ন (United Forum of Bank Unions)। শেষ পর্যন্ত যদি এই ধর্মঘট হয়, তাহলে হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন।
কারণ জানুয়ারির ২৮ তারিখ মাসের চতুর্থ শনিবার। ২৯ তারিখ রবিবার। এই দু’দিন এমনিই ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তারপর সোম এবং মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে কর্মচারিরা। যে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়নস এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, সেটি আসলে দেশের বৃহত্তম ৯টি ব্যাংক কর্মী সংগঠনের সম্মিলিত মঞ্চ। অর্থাৎ দেশের প্রায় সব ব্যাংক কর্মীই এই ধর্মঘটে অংশ নেবেন। যার ফলে ওই পাঁচদিন কার্যত থমকে যেতে চলেছে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। যার ফলে হাজার হাজার গ্রাহক ভোগান্তির মুখে পড়তে পারেন।
ব্যাংক কর্মী সংগঠনগুলির মূলত পাঁচ দফা দাবি রয়েছে। প্রথমত, প্রতি সপ্তাহে শনি এবং রবিবার ছুটি দিতে হবে। সাধারণত, প্রতি মাসের দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শনিবার ছুটি থাকে কর্মীদের। সেটা প্রতি সপ্তাহে করার দাবি জানাচ্ছেন কর্মীরা। বেতন বৃদ্ধির দাবিও রয়েছে তাঁদের। এছাড়া ২০১০ সালে এপ্রিলের পর থেকে ব্যাংক কর্মী এবং অফিসারদের জন্য এপিএস (APS) ব্যবস্থা তুলে দিয়ে পুরনো পেনশন ব্যবস্থা চালুর দাবিও জানিয়েছেন ব্যাংককর্মী সংগঠনের সদস্যরা। কেন্দ্র যেভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলির সংযুক্তিকরণ এবং বেসরকারিকরণ (Bank Privatisation) করছে, সেটারও বিরোধিতা করছে কর্মী সংগঠনগুলি।
উল্লেখ্য, শেষবার ২০২১ সালের মার্চ মাসে একই দাবিতে ব্যাংক ধর্মঘট হয়েছিল। প্রায় ১০ লক্ষ ব্যাংক কর্মচারি এবং আধিকারিক সেই ধর্মঘটে অংশ নেন। তারপর একাধিকবার এই সংগঠন ধর্মঘটের ডাক দিলেও শেষপর্যন্ত সরকারের সঙ্গে আলোচনার পর পিছিয়ে এসেছে। এবারে শেষপর্যন্ত ধর্মঘট হয়, নাকি এই সংগঠনটি পিছিয়ে আসে, সেটাই দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.