বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: কর্ণাটকের জয়ে যেন কংগ্রেসে ‘মরা গাঙে বান এসেছে’। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বলা হত শতাব্দীপ্রাচীন দলে বছর হয় আঠারো মাসে। মল্লিকার্জুন খাড়গে সভাপতি হওয়ার পর থেকেই হাওয়া অন্য খাতে বইতে শুরু করেছে। এমনকী বেশ কিছুদিন ধরেই পরস্পর যুযুধান হিসাবে চিহ্নিত অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলটও এবার একজোট হয়ে লড়তে রাজি হলেন।
সোমবার দীর্ঘ চার ঘণ্টার বৈঠকের পর কে সি বেণুগোপাল জানিয়ে দিলেন, বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে লড়াই করতে, জোটবদ্ধ হয়েই লড়বেন অশোক গেহলট এবং শচীন পাইলট। তিনি বলেন, “দুই নেতাই একবাক্যে সম্মত হয়েছেন একসঙ্গে কাজ করতে এবং হাইকমান্ডের উপর যে কোনও বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।” যদিও এই ‘শান্তি-চুক্তি’ নিয়ে বেশি বিস্তারিত কিছু জানাননি বেণুগোপাল।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের ভোট নভেম্বরে। তার জন্য এখন থেকেই সংগঠন সাজিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমেছে কংগ্রেস। পাশাপাশি বিভিন্ন স্তরে গোষ্ঠীকোন্দল মেটাতে সময় নষ্ট করতে রাজি নন খাড়গে ও রাহুল গান্ধীরা। সোমবারই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ-সহ গোটা মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসকে দিল্লিতে ডেকে ভোট প্রস্তুতি শুরু করলেন। বৈঠক শেষে রাহুলের দাবি কর্ণাটকের রেকর্ডও ভেঙে দেবে মধ্যপ্রদেশ। দেড়শোর বেশি আসন পাবে কংগ্রেস।
কর্ণাটকের ‘ঐক্য-মন্ত্র’ রাজস্থানে খাটানোর লক্ষ্যেই সোমবার দুই নেতার সঙ্গে প্রথমে আলাদা কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন খাড়গে। প্রাথমিক পর্যায়ে বরফ গলায় এবার দুই নেতাকে মুখোমুখি বসিয়েও আলাদা করে বিস্তারিত কথা বলেন খাড়গেরা, এমনই সূত্রের খবর। তবে উল্লেখযোগ্য বিষয়, ভোটের ছ’মাস আগে থেকেই এআইসিসির এই তৎপরতা, যা কংগ্রেসকে সুফল দেবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এদিন সকালে মধ্যপ্রদেশের নেতাদের সঙ্গে ভোটপ্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করতে বসেন খাড়গে, রাহুল ও কে সি বেণুগোপালরা। বৈঠকে প্রচার প্রস্তুতির পাশাপাশি, গোষ্ঠীকোন্দল ও প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়। পরে রাহুল গান্ধী জানান, ভোটপ্রস্তুতি নিয়ে কথা হয়েছে। কেন্দ্র ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে। তবে কমল নাথ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কি না তা নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি রাহুল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.