জেলে বসেই গড়করিকে খুনের হুমকি গ্যাংস্টারের, চাঞ্চল্যকর দাবি পুলিশের

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খুনের হুমকি, তাও আবার জেলে বসে! নীতীন গড়করির (Nitin Gadkari) অফিসে হুমকি ফোন নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ। নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার গড়করির অফিসে খুনের হুমকি এসেছিল কর্ণাটকের এক জেল থেকে।

#UPDATE | Union Minister Nitin Gadkari was being threatened from jail. The caller is a notorious gangster and murder accused Jayesh Kantha, who is imprisoned in Belagavi jail. He threatened Gadkari’s office by using the phone illegally inside the jail: Amitesh Kumar, CP Nagpur

Advertisement

— ANI (@ANI) January 14, 2023

আরও পড়ুন:

• ২০২৪-এ শ্রীনগরের একজন যুবকও যোগ দেয়নি জঙ্গি দলে, ভূস্বর্গের ‘সুখবর’ শোনাল পুলিশ
• বাংলা ও বিহারে আর্সেনিকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, পরিবেশ আদালতে রিপোর্ট কেন্দ্রের

শনিবার একাধিকবার ফোন করে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়করিকে খুনের দেওয়া হয়। সকালে অন্তত বার দু’য়েক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাগপুরের অফিসে হুমকি ফোন আসে। প্রথম ফোনটি আসে সকাল ১১.৩০ মিনিট নাগাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খুন এবং বোমা মেরে তাঁর অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। মিনিট দশেক বাদেই ফের ফোন করে অজ্ঞাতপরিচয় ওই দুষ্কৃতী। এবারেও একইভাবে মন্ত্রীকে খুন এবং অফিস উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন নীতীন গড়করির অফিসের কর্মীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দ্রুত তদন্তে নামে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: পুলিশের কাছে রোমহর্ষক খুনের কথা স্বীকার ২ জঙ্গির! রাজধানীতে উদ্ধার তিন টুকরো দেহ]

একদিন পরই জানা গেল, গড়করির অফিসে খুনের হুমকিটি এসেছিল কর্ণাটকের (Karnataka) জেল থেকে। জেলে বসে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে সে রাজ্যের এক দাগি আসামী। জয়েশ কান্ঠা নামের ওই গ্যাংস্টারের বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগও আছে। আপাতত খুনের অভিযোগেই কর্ণাটকের বেলগামী জেলে রয়েছে সে। জানা গিয়েছে, জেলের ভিতরে অবৈধভাবে কেউ তাকে ফোন পৌঁছে দেয়। সেই ফোন থেকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অফিসে একাধিকবার ফোন করে অভিযুক্ত।

[আরও পড়ুন: পুলিশের কাছে রোমহর্ষক খুনের কথা স্বীকার ২ জঙ্গির! রাজধানীতে উদ্ধার তিন টুকরো দেহ]

ব্যক্তিগত শত্রুতা, নাকি প্রশাসনিক কোনও সিদ্ধান্তের বিরোধিতা, কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে খুনের হুমকি দিতে গেল এই দাগি আসামী, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে একটি ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। তদন্তের স্বার্থে কর্ণাটকে গিয়েছে নাগপুর পুলিশের (Nagpur Police) একটি দল। অভিযুক্তকে হেফাজতে চেয়েছে তারা।