সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি অভিযান নিয়ে বাকযুদ্ধ চলছেই। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadvi Niranjan Jyoti), যার উপস্থিতিতে যাবতীয় কাণ্ড কারখানা, তিনি ফের তোপ দাগলেন এরাজ্যের শাসকদলকে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁর সঙ্গে দেখা করার সদিচ্ছাই ছিল না তৃণমূল প্রতিনিধিদের। তাঁরা ‘তামাশা’ করতে গিয়েছিল।
সাধ্বীর বক্তব্য,”ওদের আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাই ছিল না। ওরা শুরুতে জানতে চেয়েছিল, কতজন দেখা করতে পারেন আমি বললাম ৫ জন আসুন। ওরা বলল, ১০ জন আসব। আমি বললাম, তাই আসুন। কিন্তু এর পর ওরা বলে, আমরা সাধারণ জনগণকে সঙ্গে আনব। আমি বলেছিলাম, সরকার যেহেতু অভিযোগ করছে, তাই সরকারি স্তরে কথা হবে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে আমি পরে আলাদা করে কথা বলে নেব। ওরা আসলে তৃণমূলের কর্মী। সাধারণ মানুষ নয়।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য,”সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত নাটক করল। মিথ্যাচারের বলে বাংলায় সরকার চলছে। মমতা বলেছিলেন, বাংলায় সিপিএমের (CPIM) গুন্ডারাজ শেষ করব। কিন্তু আজ সেই গুন্ডারাই এখন অন্য দলের কর্মীদের মারছে। আমি বলতে পারি, মনরেগায় বাংলায় বিপুল দুর্নীতি হয়েছে। একবার নয়, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ সালে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে এসে ওরা একজন কর্মাধ্যক্ষ একজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা কোনও পদ্ধতি নয়।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই ‘মিথ্যাচার’ নিয়ে পালটা বিবৃতি দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। এরাজ্যের শাসকদলের বক্তব্য,”মিথ্যা কথা বলছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওর কথা সত্যি হলে আমরা ওর দপ্তরেই পৌঁছতে পারতাম না। আমাদের ৩ ঘণ্টা বসিয়ে রেখে ওকে পালাতে হত না। আর দিল্লি পুলিশ দিয়ে আমাদের হেনস্তা করা হত না।” এরাজ্যের শাসকদল সোশাল মিডিয়ায় বলছে,”অত্যাচারি জমিদারদের বিরুদ্ধে মা-মাটি মানুষের অধিকার নিয়ে লড়াই করা যদি তামাশা হয়ে থাকে তাহলে এই তামাশা আমরা চালিয়ে যেতে চাই।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.