Advertisement
Advertisement

Breaking News

Agnipath Scheme

Agnipath Protest: চুল কাটা, কাপড় কাচার প্রশিক্ষণ পাবে অগ্নিবীররা! বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

অগ্নিবীরদের দারোয়ান হিসাবে নিয়োগ করার কথা বলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

Union Minister Kishan Reddy says Agniveers will be trained as driver, barber | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:June 20, 2022 2:40 pm
  • Updated:June 20, 2022 2:50 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনায় অগ্নিপথ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) মাধ্যমে নিয়োগ করার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। এর মধ্যেই বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya) মন্তব্য করেছিলেন, সেনায় কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দলীয় পার্টি অফিসে দারোয়ান হিসাবে তাদের নিয়োগ করা হবে। এই কথার রেশ টেনেই ফের বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি (G Kishan Reddy)। তাঁর মতে, চুল কাটা, গাড়ি চালানো,কাপড় কাচা- নানা কাজেই পারদর্শী হবে অগ্নিবীররা। কারণ এই সমস্ত কাজেই তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অগ্নিবীরদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে কথা বলছিলেন রেড্ডি। সেখানেই তিনি বলেন, “ভারতীয় সেনায় ড্রাইভার, ইলেকট্রিশিয়ান, নাপিতের মতো নানা কাজের জন্য কর্মী প্রয়োজন হয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে যারা নিযুক্ত হবে, তারা এই ধরনের সব কাজেই পারদর্শী হবে।” তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে সেনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে? মন্ত্রীর কাছ থেকে উত্তর আসে, এই ধরনের কাজগুলিও শেখানো হবে অগ্নিবীরদের (Agniveer)। সেই সঙ্গে পালটা প্রশ্ন ছঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এই কাজ শেখানো যাবে না, এমন কোনও নিয়ম আছে কি? 

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভয়ংকর বন্যা অসমে, উদ্ধারকাজে গিয়ে জলের তোড়ে ভেসে গেলেন ওসি, মৃত্যু কনস্টেবলের]

এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই নেটিজেনদের রোষের মুখে পড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রশান্ত নামে একজন লিখেছেন, “তাহলে ক্যান্ডিডেটরা গাড়ি চালানো আর চুল কাটা শিখবে। তারপরে নিজেদের অগ্নিবীর বলে জাহির করবে।” একই সুরে আরেক নেটিজেন বলেছেন, “বহুদিন ধরেই এই ধরনের কাজের জন্য কর্মচারী রয়েছে সেনাবাহিনীতে। নতুন করে লোক নেওয়ার কী মানে?” গাড়ি চালানো, কাপড় কাচা ইত্যাদি কাজে প্রশিক্ষণ শেষ করে কি বিশেষ সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে, সেই প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।

প্রসঙ্গত, বিজয়বর্গীয়ের মন্তব্যের পরই ওঠে সমালোচনার ঝড়। রাজনৈতিক মহলের প্রায় সকলেই কৈলাসের বিরোধিতায় সরব। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি এমনকী বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে সুর চড়ান। সেই তালিকায় নাম জুড়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। ক্রমাগত প্রতিবাদের ফলে বেশ কিছু রদবদল করা হয়েছে অগ্নিবীর নিয়োগের নিয়মে। তবে বিজেপি নেতাদের এহেন বেফাঁস মন্তব্যের ফলে বিক্ষোভের আগুনে ঘি পড়বে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। 

[আরও পড়ুন: ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মাঝে সুখবর, নিজের সংস্থায় অগ্নিবীরদের নিয়োগে আগ্রহী মহিন্দ্রা

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement