ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ‘দাবাং’ স্টাইলে সবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার পথে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আটকালেন ত্রিশূরের পুলিশ সুপার। মন্দিরের কাছেই মন্ত্রীর গাড়ি আটকান তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এর বেশি আর এগোনো যাবে না। কিন্তু এতবড় ঘটনার পরও ওই অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। উলটে দুই বিজেপি কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পন রাধাকৃষ্ণণের সঙ্গে। তিনি অর্থমন্ত্রকের একজন রাষ্ট্রমন্ত্রী। সবরীমালা মন্দিরে যাওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনেক বিজেপি কর্মী। নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়েই মন্দিরে যাচ্ছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু যখন নালাক্কালে পৌঁছন, তখন তাঁর গাড়িটি আটকান পুলিশ সুপার জ্যোতিষ চন্দ্র। মন্ত্রীর গাড়ি আটকানোয় অবাক হয়েছিলেন অনেকে। ওই পুলিশ অফিসারকে অনেক কড়া কথা শুনতে হয়। তা সত্ত্বেও মন্ত্রীকে যেতে দেননি তিনি। উলটে বলেন, তাঁর গাড়ি আর এর আগে যেতে পারবে না। কারণ, সবরীমালা মন্দিরের বাইরে যে ফাঁকা জায়গাটি ছিল বন্যার পর তার অবস্থা বেশ খারাপ। এখনও সেখানে ধসের আশঙ্কা রয়েছে। সরকারি বাস ছাড়া সেখানে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারে না।
[ শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য কর্তারপুর করিডর গড়বে ভারত ]
কিন্তু তাতেও বরফ গলেনি। রাধাকৃষ্ণণ প্রশ্ন তোলেন, পরিস্থিতি যদি খারাপই হবে, তবে সরকারি বাস কেন ঢুকতে পারবে? আর মন্ত্রী হয়েও তিনি কেন যেতে পারবেন না কেন? উত্তরে পুলিশ সুপার জানান, সরকারি বাস তীর্থযাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে চলে আসে। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তবে এই বাগবিতন্ডার মধ্যে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কে সুরেন্দর ও হিন্দু ঐক্য বেদির প্রধান কে পি শশীকলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মহিলারা যে পথ দিয়ে যান, সেই পথ দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন পন রাধাকৃষ্ণণ। বিষয়টি নিযে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। বলেছেন, এই নিয়ম অচিরেই বদলে ফেলা উচিত। নাহলে একদিন ভক্তরাই এই নিয়ম বদলে দেবে।
[ লোকসভার আগেই বিধানসভা ভোট কাশ্মীরে, জানাল নির্বাচন কমিশন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.