Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘হিন্দু নারীদের ছুঁলে কেটে ফেলা হবে হাত’, বিতর্কিত মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

সরগরম কর্ণাটকের রাজনীতি। 

Union Minister Hegde sparks row

ফাইল ফটো

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 28, 2019 2:11 pm
  • Updated:January 28, 2019 2:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার টুইট যুদ্ধে জড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার হেগড়ে ও কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি দীনেশ গুন্ডুরাও। টুইটে হেগড়ে মন্তব্য করেছিলেন, “হিন্দু মেয়েদের গায়ে হাত দিলে হাত কেটে ফেলা হবে।” এই মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয় লড়াই। মাইক্রো ব্লগিং সাইটে যুদ্ধ শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। এনিয়ে সরগরম কর্ণাটকের রাজনীতি। 

রবিবার কর্নাটকের সোমরপেট এলাকার মাদাপুরা গ্রামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হিন্দু জাগরণ বেদিকে নামে একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠন। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন উত্তর কর্ণাটকের পাঁচবারের বিজেপি সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে। বিতর্ক উসকে তিনি বলেন, “কেউ হিন্দু নারীদের গায়ে হাত দিলে, তাঁর হাত কেটে ফেলা হবে।” পাশাপাশি তাজমহল নিয়ে বিতর্কিত ব্যাখ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘তাজমহল আগে শিবমন্দির ছিল। রাজা পরমতীর্থ সেই মন্দির নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন তেজো মহালয়। সেটাই পরে তাজমহল হয়ে যায়।” তবে এতেই থামেননি হেগড়ে। তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতির গুরুত্ব না বুঝে আমরা ঘুমিয়ে থাকি, তাহলে একদিন আমাদের বাড়িঘর মসজিদে বদলে যাবে। প্রভু রামকে জাঁহাপনা ও মাতা সীতাকে বিবি বলে ডাকা হবে।” হেগড়ের এই মন্তব্য নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন তোলেন দীনেশ গুন্ডুরাও। তিনি  প্রশ্ন তোলেন, “কর্ণাটক থেকে মন্ত্রী হয়ে রাজ্যের উন্নয়নের জন্য কী কাজ করেছেন হেগড়ে।” তারপরই শুরু হয় তর্ক। পালটা হেগড়ে বলেন, “একজন মুসলিম মহিলার পিছনে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া কী কাজ করেছেন গুন্ডুরাও।”               

সব মিলিয়ে দুই নেতার টুইট যুদ্ধে সরগরম কর্ণাটকের রাজনীতি। অনেকেই মনে করছেন কারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এমন আক্রমণ একেবারেই কাম্য নয়। এছাড়াও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকে হিন্দুত্বের জিগির তোলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশ্য বলে কটাক্ষ করেছেন অনেকে।    

[এবার সেট টপ বক্স না পালটেই বদলে ফেলুন পরিষেবা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement