সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধী দেশের শত্রু! দেশের বিরোধী দলনেতাকে ভারতের ‘এক নম্বর জঙ্গি’ বলে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবনীত সিং বিট্টু। এমনকী কংগ্রেস সাংসদের বিরুদ্ধে শিখদের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টার অভিযোগ তুললেন বিজেপি সাংসদ।
সম্প্রতি ভার্জিনিয়ায় প্রবাসীদের একটি সভায় লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন, “বিজেপির শাসনে ভারতে তলানিতে ধর্মীয় স্বাধীনতা। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ শিখ সম্প্রদায়। তাঁদের পাগড়ি, কারা পরা এবং গুরুদ্বারে যাওয়া নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। এখন অধিকার আদায়ে লড়াই করতে হচ্ছে। শুধু শিখ ধর্ম বলে নয়, অন্য ধর্মের লোকেদেরও একই অবস্থা।” রাহুলের এই মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে তাঁর পাশে দাঁড়ান খলিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা পান্নুন। এই ইস্যুতেই এবার রাহুলকে জঙ্গি বলে আক্রমণ শানালেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের মন্ত্রী।
এই ঘটনার পরই রাহুলের বিরুদ্ধে সরাসরি আক্রমণ শানিয়ে এদিন কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী বিট্টু বলেন, “রাহুল গান্ধী দেশের শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। শিখরা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। তার পর আগুন জ্বালানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে।” এর পরই সুর চড়িয়ে বলেন, “রাহুল গান্ধী হলেন দেশের এক নম্বর জঙ্গি। যারা দেশের ট্রেন, জাহাজ, বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় তারা আজ ওর সমর্থনে এগিয়ে এসেছে। এতেই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায়। আমার মনে হয় রাহুল গান্ধীকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুরষ্কার ঘোষণা করা উচিৎ। উনি দেশের সব চেয়ে বড় শত্রু।”
একইসঙ্গে রাহুলের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিট্টু বলেন, “রাহুল ভারতীয় নন, উনি জীবনের বেশিরভাগ সময় বিদেশে কাটিয়েছেন। এই দেশের প্রতি ওনার কোনও ভালোবাসা নেই। কারণ উনি বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশের বদনাম করেন। ওনার আচরণ ক্ষমার অযোগ্য।” রাহুলের পাশাপাশি বিট্টুর নিশানায় ছিল কংগ্রেস দলও। তিনি বলেন, “রাহুল হোক কিংবা কংগ্রেসের যে কোনও নেতা। সবাই দেশ ভাঙার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দেশের নিরাপত্তা ও কোটি কোটি মানুষের স্বার্থে কিছু করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই ওদের। শুধু মাত্র ভোটের রাজনীতিতে লিপ্ত ওরা। আমি কংগ্রেসের টিকিটে ৩বার সাংসদ হয়েছি। আমি খুব ভালো করে ওদের চিনি।”
উল্লেখ্য, শিখদের নিয়ে রাহুলের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর পান্নুন দাবি করেন, রাহুলের মন্তব্য দীর্ঘদিন ধরে আমাদের খলিস্তানের দাবিকেই মান্যতা দিল। এক বিবৃতিতে তার বক্তব্য, “রাহুল গান্ধী শিখদের অস্তিত্ব সংকট নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, সেটা যে শুধুই সাহসী তাই নয়। এটা শিখদের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাসের প্রামাণ্য। ১৯৪৭ সালের পর থেকে শিখরা ভারতে যে পরিস্থিতির শিকার, এই মন্তব্য সেটাই প্রমাণ করে। এটা শিখস ফর জাস্টিসের যে স্বাধীন পাঞ্জাবের দাবি, সেটাকেই মান্যতা দেয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.