বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: বাংলায় ৬০ হাজার কোটির রেল প্রকল্প চলছে। তার জন্য চলতি অর্থবর্ষে ১৩ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে প্রকল্প এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠি দেওয়ার কথা জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর অভিযোগ, বিরোধীরা রেল নিয়ে রাজনীতি করছে। মানুষের কথা ভেবে রাজনীতি না করারও আবেদন জানান রেলমন্ত্রী।
জমি অধিগ্রহণ রাজ্যের বিষয়। তাই এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও অধিকার নেই। রাজ্য সরকার যত তাড়াতাড়ি জমি অধিগ্রহণ করে রেলের হাতে তুলে দেবে তত দ্রুত প্রকল্প শেষ করা সম্ভব হবে। এ ক্ষেত্রে অর্থের কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি অশ্বিনী বৈষ্ণবের। বাংলার ক্ষেত্রে রেল একই নীতি নিয়ে চলছে বলে জানান তিনি। বাংলার ১০০টি স্টেশনকে অমৃত ভারত স্টেশন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার কাজও চলছে বলে জানান।
বুধবার সংসদে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে জোর সওয়াল করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে রেলমন্ত্রীকে কার্যত তুলোধোনা করেন। তার জবাবে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, মানুষের প্রাণের বিষয়টি এর সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে চান না। তবে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে রেল মন্ত্রক যথেষ্ট চিন্তিত বলে জানান। তবে বিরোধীদের তরফে রেল সুরক্ষায় কর্মীর অভাব বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি। রেলমন্ত্রীর দাবি, ইউপিএ সরকারের ১০ বছরের মেয়াদকালে যত পরিমাণ কর্মী নিয়োগ হয়েছিল, এনডিএ সরকারের গত দুটি মেয়াদে তার চেয়ে বেশি নিয়োগ হয়েছে।
এদিকে, পিঙ্ক বুক প্রকাশে দেরি হওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ এই পুস্তিকায় কোন রাজ্যের জন্য কত বরাদ্দ করা হয়েছে সেই উল্লেখ থাকে। সেই সঙ্গে কোন প্রকল্পের জন্য কত বরাদ্দ তারও উল্লেখ থাকে। বিরোধীদের অভিযোগ, বাজেট (Union Budget 2024) পেশের একদিন পরেও রেলমন্ত্রক এই পুস্তিকা প্রকাশ না করে কিছু লুকাতে চাইছে। যদিও রেলের দাবি, গত ফেব্রুয়ারি মাসে যে অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ হয়েছিল তখন একদফা পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। তার মেয়াদ আগস্ট পর্যন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.