Advertisement
Advertisement

করকাঠামো অপরিবর্তিত রেখে মহিলাদের মুখে হাসি ফোটালেন জেটলি

মহিলাদের ইপিএফে ১২ শতাংশ ভর্তুকি কেন্দ্রের।

Union Budget 2018: Arun jaitley offers sops to women
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 1, 2018 4:06 pm
  • Updated:February 1, 2018 4:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগেই নারীর ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। সরকারি নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে নারীমুখী বাজেট উপহার দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। চলতি বাজেটে বেতনভোগী নারী থেকে শুরু করে সাধারণ গৃহবধূ, সকলের মুখেই হাসি ফুটবে। স্বাধীন ব্যবসার ক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাচ্ছেন মহিলারা। ২০১৮-র কেন্দ্রীয় বাজেটে ঋণপ্রকল্প সরলীকরণ করতে মুদ্রা যোজনার আওতায় কেন্দ্র তিন লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এভাবে ঋণ পেলে স্বাধীন ব্যবসায় আরও বেশি করে উদ্যোগী হবেন মহিলারা। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে ৭৬ শতাংশ মহিলা ঋণগ্রহীতা রয়েছেন। যার মধ্যে ৫০ শতাংশ ঋণগ্রহীতাই তফসিলি জাতি উপজাতি ও অনগ্রসর শ্রেণির। ৩৭ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।

[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮: কোন কোন জিনিসের দাম বাড়ছে?]

মোদি সরকারের উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় আট কোটি দরিদ্র মহিলাকে গ্যাস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এক্ষেত্রে পাঁচ কোটি মহিলাকে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। ২০১৮-র কেন্দ্রীয় বাজেটে তা আট কোটি করা হয়েছে। এই সুবিধা পাবেন গ্রাম ও শহরের দরিদ্র মহিলারা। মূলত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যমাত্রার সাক্ষ্য বহন করছে এই উদ্যোগ। এমনটাই জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

Advertisement

জেটলির বাজেটে খুশি হবেন বেতনভোগী মহিলারাও। আগামী তিন বছরে সরকারি বেসরকারি দুই ক্ষেত্রের কর্মচারীর প্রফিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) ১২ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই ব্যবস্থায় মহিলাদের ক্ষেত্রে ছাড়ের পরিমাণ বেশি। মহিলাদের ইপিএফে আগে ৮ শতাংশ ভর্তুকি দিত কেন্দ্র। এবার ভর্তুকির পরিমাণ বেড়ে ১২ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ মহিলার মাত্র চার শতাংশ ইপিএফ দেবেন

[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮: একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে মোবাইলের দাম]

মহিলাদের জন্য দরাজ বাজেট হলেও ব্যক্তিগত আয়ের উপরে কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা অপরিবর্তিত রাখল কেন্দ্র। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরের বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ব্যক্তিগত আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো হচ্ছে না। শুধুমাত্র কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। বলা হয়েছে, ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয় এমন সংস্থাতে কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন ব্যক্তিগত বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনওরকম কর লাগে না। তা বাড়িয়ে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত করার প্রস্তাব উঠেছিল। এমনকী, বিভিন্ন মহল থেকে সেই ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল তবে দিনের শেষে বাজেটে আয়করের সীমা অপরিবর্তিত রাখলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

[আয়করে ছাড় মিলবে? জেটলির বাজেটের দিকে তাকিয়ে মধ্যবিত্ত, চাকুরিজীবীরা]

৬০ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স তাঁদের আড়াই থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে পাঁচ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। পাঁচ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হয় ২০ শতাংশ। বার্ষিক ১০ লক্ষ টাকার উপর যাঁদের আয় তাঁদের দেওয়া করের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। ব্যক্তিগত আয় ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি হলে আয়করের উপর ১০ শতাংশ সারচার্জ বসানো হয়। আয় এক কোটি ছাড়ালে আয়করের উপর ১৫ শতাংশ হারে সারচার্জ নেওয়া হয়। ব্যক্তিগত আয়করের এহেন অপরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের জন্য সুখবর। প্রবীণরা স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়ামে আট শতাংশের উপরে কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন। বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সুদ করমুক্ত তালিকায় থাকবে।

[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮: বিশ্বের বৃহত্তম জনস্বাস্থ্য যোজনায় মিলবে ৫ লক্ষ টাকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement