সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেকারত্ব সংক্রান্ত যে তথ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা চূড়ান্ত নয়, খসড়া মাত্র। বিরোধীদের তীব্র আক্রমণের মুখে সরকারের তরফে সাফাই দিল নীতি আয়োগ। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন, চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রস্তুত হতে মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। তা চূড়ান্ত হলেই প্রকাশ করা হবে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছিল, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ১৯৭২-৭৩ অর্থবর্ষের পর সবচেয়ে বেশি। ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিসের পিরিয়ডিক লেবার ফোর্স সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দি ঘোষণার পর থেকে এই সমীক্ষা শুরু করে দুটি সংস্থা। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, ১৯৭২-৭৩ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল সবথেকে বেশি। ২০১৭-১৮ বর্ষে সেই রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গেল। জুলাই ২০১৭ থেকে জুন ২০১৮ অর্থবর্ষে বেকারত্বের হার ৬.১ শতাংশ। এই তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরই সরকারের মুণ্ডপাত শুরু করে বিরোধীরা। এই তথ্যকে হাতিয়ার করে টুইট করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, বেকারত্বের পরিসংখ্যান জাতীয় বিপর্যয়ের সমান। বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এখন দেখা যাচ্ছে মাত্র ১ বছরেই সাড়ে ছ’কোটি যুবক-যুবতী বেকার। মোদির যাওয়ার সময় এসেছে। বিজেপি অবশ্য এই রিপোর্টকে ‘ফেক নিউজ’ বলে কটাক্ষ করে।
এরপরই আসরে নামে নীতি আয়োগ। এই তথ্যকে ‘ফেক নিউজ’ হিসেবে উড়িয়ে না দিলেও তারা জানিয়েছে এখনও তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হতে সময় লাগবে আরও কয়েকমাস। এবছর বেকারত্বের পরিসংখ্যান তৈরির পদ্ধতি বদলানো হয়েছে। এখন বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তাই অতিরিক্ত সময় লাগছে। যদিও, নীতি আয়োগের এই সাফাইকে পাত্তা দিচ্ছে না বিরোধীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.