সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার আর্থিক মন্দার প্রভাব সরাসরি পড়া শুরু করল চাকরির বাজারে। তিন বছরের পুরনো বেকারত্বের রেকর্ড ভেঙে দিল দেশ। সম্প্রতি ‘সেন্টার ফর মনিটারিং ইন্ডিয়ান ইকনোমি’-বেকারত্ব নিয়ে একটি পরিসংখ্যান পেশ করেছে। যাতে বলা হয়েছে, এবছর অক্টোবর মাসে দেশে বেকারত্বের হার ৮.৫ শতাংশ। যা গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসের পর এত খারাপ অবস্থা আগে হয়নি। এমনকী নোট বাতিলের পরও বেকারত্ব এই জায়গায় পৌঁছায়নি।
অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, বাজারে আর্থিক মন্দার কারণেই বেকার সমস্যার এই বাড়বাড়ন্ত। মূলত, জিএসটি ও নোট বাতিলের জেরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে, তাঁর প্রভাব ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের হাতে নগদের জোগান নেই, ফলে বাজারে চাহিদা নেই। আর চাহিদা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই উৎপাদন কমাতে হচ্ছে বড় বড় সংস্থাকে। তার জেরে চাকরি যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। একই সঙ্গে মার খাচ্ছে ছোট দোকানদারদের ব্যবসাও। এ হেন গভীর সমস্যার সমাধানে সরকারের ভূমিকা তথৈবচ। সে অর্থে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। উলটে, শাসক দলের নেতামন্ত্রীরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন আর্থিক মন্দার তত্ত্বকে অস্বীকার করতে।
এখানেই শেষ নয়, আরও একটি উদ্বেগজনক তথ্য সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। সম্প্রতি ‘সেন্টার ফর সাস্টেনেবল এমপ্লয়মেন্ট’ নামে একটি গবেষণাপত্র তথ্যটি প্রকাশ করেছে। গবেষণাপত্রটি লিখেছেন সন্তোষ মেরহোত্রা ও যজাতি কে পারিদা নামের দুই নামী অর্থনীতিবিদ। তাদের দাবি, ২০১১-১২ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ভারতবর্ষে রোজগারের সুযোগ কমেছে প্রায় ৯০ লক্ষ। ইউপিএ আমলের শেষ ৩ বছর এবং মোদি সরকারের প্রথম ৪ বছর এর জন্য সমানভাবে দায়ী। শুধু তাই নয়, গত ৩ বছর ধরে লাগাতার মানুষের রোজগারের সুযোগ কমছে বলেও দাবি ওই গবেষণার। এই পরিসংখ্যান যদি সত্যি হয়, তাহলে সত্যিই অর্থনীতির জন্য চিন্তার বিষয়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যেভাবে মানুষ চাকরি হারাচ্ছেন তাতে অর্থনীতির মোড় ঘোরানো আরও কঠিন হয়ে যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.