সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খলিস্তানি সন্ত্রাস’ নিয়ন্ত্রণে তহবিল গড়ছে ব্রিটেন। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুজেনডাট। ভারতের চাপেই কী এহেন পদক্ষেপ করল ডাউনিং স্ট্রিট, উঠছে প্রশ্ন।
বৃহস্পতিবার তিনদিনের ভারত সফরে এসেছেন নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুজেনডাট। সেপ্টেম্বরে জি-২০ সম্মেলনের আগে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও মজবুত করতেই এই সফর। ব্রিটিশ দূতাবাসের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বৃহস্পতিবাার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নিরাপত্তা মন্ত্রী টম টুজেনডাট। সেখানেই খলিস্তানি সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে নতুন তহবিল গড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।” জানা গিয়েছে, নতুন তহবিলের জন্য প্রাথমিকভাবে ৯৫ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত মার্চ মাসে লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে কার্যত তাণ্ডব চালায় খলিস্তানিরা। দপ্তরের সামনে জাতীয় পতাকা টাঙানো ছিল, সেটি খুলে ফেলে দিয়ে হলুদ খলিস্তানি পতাকা লাগিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। কেন পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ছিল না দূতাবাসের সামনে, সেই নিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করে ভারত। মধ্যরাতেই তলব করা হয় ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনারকে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একটি রিপোর্টে বলা হয়, খলিস্তানিদের হিটলিস্টে রয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং কানাডায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত সঞ্জয় কুমার ভার্মাও নাকি রয়েছেন জঙ্গিদের নিশানায়। গত জুন মাসে কানাডায় খুন হয় ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্সে’র প্রধান হরদীপ সিং নিজ্জর। বলে রাখা ভাল, ‘শিখস ফর জাস্টিস’-এর কানাডার শাখা হচ্ছে ‘খলিস্তান টাইগার ফোর্স’। ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত ছিল নিজ্জর। কিন্তু ভারত ছাড়ার পরে পান্নুন তাকে কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি নিযুক্ত করে। কয়েকবছর আগেই ‘রেফারেন্ডাম-২০২০ প্রচারাভিযান’-এর দায়িত্বও পায় নিজ্জর। তাঁকে প্রায়শই ভ্যানকোভারের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভে সামিল হতে দেখা যায়। পান্নুন মনে করে, নিজ্জরের হত্যার নেপথ্যে ভারতের হাত রয়েছে। তাই বদলা নিতে ষড়যন্ত্র রচনা করছে সে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.