সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল উদ্ধব ঠাকরে। এর মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে টানাপোড়েন তাঁর মাথাব্যথা আরও বাড়িয়েছে। রাজ্যপাল তাঁকে বিধান পরিষদের সদস্য নির্বাচন করলে, তবেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গদি ধরে রাখতে পারবেন। এমন পরিস্থিতিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন তিনি। জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তাঁর পদক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, ফোনেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেন, তাঁর রাজ্যে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। অবশ্য কে বা কারা এই কাজ করছেন, সে সম্পর্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শিব সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হলেও উদ্ধব রাজ্য বিধানসভার দুই কক্ষের কোনওটিরই সদস্য নন। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও মন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর ৬ মাসের মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত বা মনোনীত হয়ে আসতে হয়। শপথ নেওয়ার সময় উদ্ধবের পরিকল্পনা ছিল ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের কোনও একটি আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে বিধানসভায় যাবেন। নাহলে দলীয় বিধায়কদের ভোটে বিধান পরিষদে নির্বাচিত হবেন। কিন্তু মাঝে বাদ সাধল করোনার হামলা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে নির্বাচন তো দূরাস্ত বিধানসভা অধিবেশনও আয়োজন করা সম্ভব নয়। এদিকে আগামী ২৮ মে উদ্ধবের ৬ মাস মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নির্বাচিত না হলে কুরসি হারাতে হতে পারে তাঁকে। এমন অবস্থায় তাঁর গদি বাঁচাতে পারেন একমাত্র রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি (Bhagat Singh Koshyari)। তাঁর দুই মনোনীত সদস্যের পদ ফাঁকা। ফলে তিনি উদ্ধবকে মনোনীত করলে এ যাত্রায় গদি রক্ষা সম্ভব। সেই মতো মঙ্গলবার রাজ্যপালকে মন্ত্রিসভার তরফে একটি প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা রাজ্যপাল এখনও গ্রহণ করেননি। তার ফলেই জটিলতা বেড়েছে।
রাজনৈতিক মহল বলছে, এমন পরিস্থিতিতে উদ্ধবকে গদিচ্যুত করতে নানান সমীকরণ হতে পারে। রাজ্য বিজেপিও নিজেদের হৃত জমি পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট হতে পারে। তাই আগেভাগেই প্রধানমনমন্ত্রীকে ফোন করে সাহায্য চাইলেন শিব সেনা প্রধান। বললেন, “করোনায় বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি সঠিক কাজ নয়।” এরপর কী হয়, তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.