Advertisement
Advertisement

Breaking News

UAPA Tribunal

ট্রাইব্যুনালে বহাল কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত, কাশ্মীরে নিষিদ্ধই পাকপন্থী হুরিয়ত-সহ দুই সংগঠন

সংগঠন দুটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাশ্মীরে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করেছিল তারা।

UAPA Tribunal Confirms ban on Muslim League Jammu and Kashmir and Tehreek E Huriyat Jammu and Kashmir
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 22, 2024 3:42 pm
  • Updated:June 22, 2024 3:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের বুকে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা! বিচ্ছিন্নতাবাদে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ। গত বছরই ‘মুসলিম লিগ জম্মু কাশ্মীর’ এবং ‘তেহরিক-ই-হুরিয়ত’ নামের দুটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখল ইউএপিএ ট্রাইব্যুনালও। আগামী পাঁচ বছর এই সংগঠন দুটি নিষিদ্ধ সংগঠন হিসাবেই চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এই দুটি সংগঠনের সঙ্গে কোনওরকমভাবে যুক্ত থাকলে বা সহমর্মিতা দেখালে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।

‘মুসলিম লিগ জম্মু কাশ্মীর’ নামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনটির নেতৃত্ব দিতেন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি। বর্তমানে সংগঠনটির নেতৃত্বে রয়েছেন অল ইন্ডিয়া হুরিয়াত কনফারেন্সের কট্টরপন্থী গোষ্ঠীর অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান মাসরাত আলম। গত ডিসেম্বরে সেই সংগঠনেরই অস্তিত্ব মুছে দেয় কেন্দ্র। একই সঙ্গে মুছে দেওয়া হয় ‘তেহরিক-ই-হুরিয়ত’ (Tehreek-e-Hurriyat) নামের পাকিস্তানপন্থী সংগঠনটির অস্তিত্বও। এর নেতৃত্বও মাসারাতের হতে আসে সইদ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুর পরে।

Advertisement

[আরও পড়ুন; ‘বাচ্চা চুরি করতে এসেছিস’, বলেই ইদের মেলায় যুবককে গণধোলাই, বারাসতের পর এবার বারাকপুর]

এই দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংগঠন দুটি জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টায় নিযুক্ত ছিল। কাশ্মীরে ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রও করেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরে ভারত-বিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ও ক্রমাগত সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে ইন্ধন দিয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi) সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠী ও ব্যক্তি সবক্ষেত্রেই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলেন। সেই নীতি মেনেই সংগঠন দুটিকে নিষিদ্ধ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দুটি সংগঠনের বিরুদ্ধেই দেশদ্রোহিতার মামলা করা হয়।

[আরও পড়ুন: গার্স্টিন প্লেসে পুড়ে ছাই মামলার নথি, দমকল মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ আইনজীবীদের]

পালটা এই সংগঠন দুটি আবেদন করে ইউএপিএ ট্রাইব্যুনালে । এই ট্রাইব্যুনালের প্রধান পদে রয়েছেন দিল্লি হাই কোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত। ট্রাইব্যুনাল সোমবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ট্রাইব্যুনালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী পাঁচ বছর এই সংগঠনদুটি নিষিদ্ধই থাকবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement