Advertisement
Advertisement

মাঝ সমুদ্রে আছড়ে পড়ল ব্রহ্মস মিসাইল, নয়া নজির বায়ুসেনার

চিন ও পাকিস্তানকে এক সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে সেনা।

Two versions of BrahMos missile test fired successfully
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 18, 2019 9:45 am
  • Updated:December 18, 2019 3:28 pm  

অর্ণব আইচ: সামরিক শক্তির মাপকাঠিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। মঙ্গলবার অত্যাধুনিক সুপারসোনিক ব্রহ্মস মিসাইলের দু’টি ভিন্ন সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। রাশিয়া ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই মিসাইলগুলির ফলে চিন ও পাকিস্তানকে এক সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে সেনা।

বায়ুসেনা সূত্রে খবর, এদিন অত্যাধুনিক SU-30 MKI বা সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে একটি ব্রহ্মস মিসাইল ছোঁড়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডা বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে মিসাইলটি নিয়ে পাড়ি দেয় সুখোই বিমানটি। তারপর ওড়িশা উপকূলের কাছে সমুদ্রের উপর মাঝ আকাশে নির্ধারিত লক্ষ্যের দিকে ছোঁড়া হয় মিসাইলটি। ক্ষেপণাস্ত্রটি লক্ষ্যে নিখুঁত আঘাত হানতে সক্ষম হয় । নয়া নজির গড়ে বিশ্বে এই প্রথম যুদ্ধবিমান থেকে ‘ট্রাইসনিক ক্লাস’ মিসাইল ছুঁড়ল ভারতীয় বাযুসেনা। ২.৫ টন ওজনের এই মিসাইলটি ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম।

Advertisement

[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের হাতে ব্রহ্মস মিসাইলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য! গ্রেপ্তার আইএসআই চর]

এর আগে সকালে জমিতে আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস মিসাইলের আরও একটি সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করা হয়। ওড়িশার চাঁদিপুরের ৩ নম্বর লঞ্চপ্যাড থেকে মিসাইলটি ছোঁড়া হয়। ডিআরডিও জানিয়েছে, দু’টি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণই সফল। দিন ও রাতে যে কোনও আবহাওয়ায় জলে ও স্থলে আঘাত হানতে সক্ষম eই মিসাইলগুলি। সুখোই বিমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রের সংযুক্তির ফলে এবার পাকিস্তান ও চিনের একাধিক শহর ও সামরিক ঘাঁটি এর আওতায় চলে আসবে।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ‘ব্রহ্মস এরোস্পেস’-এর সিইও সুধীর কুমার মিশ্র জানিয়ছেন, ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের আরও আধুনিক সংস্করণ তৈরি। ব্রহ্মসের রেঞ্জ বৃদ্ধিতে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় চলে এসেছে। পাঞ্জাবের জলন্ধর শহর থেকে ইসলামাবাদের দুরত্ব প্রায় ৩৫৩ কিলোমিটার। ফলে সহজেই জলন্ধরের সামরিক ঘাঁটি থেকে হামলা চালাতে পারবে ভারত। শুধু তাই নয়, অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরীগুলিরও যম ব্রহ্মস।

সুধীর কুমার মিশ্র আরও জানিয়েছিলেন, সমুদ্রে ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেকোনও জাহাজ মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে ব্রহ্মস। এমনকি ‘এয়ারক্রাফট ক্যরিয়ার কিলার’ হিসেবে নৌসেনা ও বায়ুসেনার অত্যন্ত পছন্দের এই মিসাইলটি। প্রচন্ড গতি ও উন্নত ট্র্যাকিং উপকরণ থাকায় এই ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে সক্ষম নয় মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমগুলিও। সব মিলিয়ে যুদ্ধের সমীকরণ পালটে দেবে ব্রহ্মস।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement