ছবি: প্রতীকী
মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: করোনা আবহেই জম্মু ও কাশ্মীরে জোরকদমে জঙ্গিদমন অভিযান চালাচ্ছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তার ফলও মিলছে হাতেনাতে। মঙ্গলবার যেমন অবন্তীপোরা থেকে দুই আল বদর (Al-Bader) জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে ৬ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করলেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। ধৃতদের নাম রইস-উল-হাসান ও মুস্তাক আহমেদ মীর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে অবন্তীপোরার লাডহু (Ladhoo) ক্রসিংয়ের কাছে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন স্থানীয় পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। সেসময়ই ওই এলাকা দিয়ে একটি স্কুটি নিয়ে যেতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে দুই আল বদর জঙ্গি। ধৃতদের কাছ থেকে সন্ত্রাসের কাজে ব্যবহারের জন্য ৬ লক্ষ টাকা ছিল। জেরা করে জানা যায়, শোপিয়ান থেকে খেরি এলাকায় সেই টাকা পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল তারা। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। ধৃতদের মধ্যে রইস হাসানের বাড়ি অবন্তীপোরার গাদিখাল (Gadikhal) এবং মুস্তাক মীরের বাড়ি দাদসারা (Dadsara) এলাকায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে একটি র্যালির আয়োজন করা হয়েছিল আল বদর জঙ্গি সংগঠনের তরফে৷ সেখান থেকেই আল বদর প্রধান বখত জামিন জম্মু ও কাশ্মীরে সংগঠন গড়ে তোলার ডাক দেয়। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনই আগামীতে কাশ্মীরের কন্ঠ হয়ে উঠবে বলে দাবি করে ৷ সেসময় ভারতীয় গোয়েন্দারা জানিয়ে ছিলেন, কাশ্মীরে সংগঠন তৈরি করতে আল বদরকে আর্থিক সাহায্য করছে লস্কর-ই-তইবা ও জইশ-ই-মহম্মদ৷ এর জন্য নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের বিভিন্ন ক্যাম্পে প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়।
তারপর থেকে গত দু’বছরে আস্তে আস্তে ভূস্বর্গে নিজেদের সংগঠনের প্রভাব বাড়াচ্ছিল আল বদর। কিন্তু, গত ২৮ আগস্ট তাদের সেই পরিকল্পনায় বড়সড় ধাক্কা দেন ভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। গোপন খবরের ভিত্তিতে শোপিয়ান জেলার কিলোরা এলাকায় থাকা একটি জঙ্গিঘাঁটিতে অভিযান চালান জওয়ানরা। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে খতম হয় চার জঙ্গি। আর আত্মসমর্পণ করে একজন। নিহতদের মধ্যে শকুর পারে নামে আল বদর জঙ্গি গোষ্ঠীর ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডারও ছিল। যার নেতৃত্বেই গড়ে উঠেছিল জম্মু ও কাশ্মীরের আল বদর জঙ্গি সংগঠনটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.