সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিদ্বার ধর্মসংসদ ইস্যুতে এবার নয়া মাত্রা। ঘৃণা ভাষণের জন্য হিন্দুত্ববাদী নেতাদের নয়, বরং শাস্তি হওয়া উচিৎ মুসলিমদেরই। এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করল দুটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। তাঁদের বক্তব্য, হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত আসার কারনেই হরিদ্বারের ওই ধর্মসংসদে ওই ধরনের ভাষণ দিতে বাধ্য হয়েছেন ধর্মগুরুরা। ‘হিন্দু সেনা’ এবং ‘হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস’ (Hindu Front for Justice) নামের দুটি সংগঠন শীর্ষ আদালতে এই দুটি আবেদন করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হরিদ্বারে (Haridwar Hate Speach) আয়োজিত ধর্ম সংসদে হিন্দুত্ববাদী ধর্মগুরুরা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার ডাক দিয়েছিলেন। মুসলিম গণহত্যায় হিন্দুদের হাতে অস্ত্র তুলে নিতে বলা হয় সেদিন। ওই ঘটনায় স্বামী ধর্মদাস, সাধ্বী অন্নপূর্ণা এবং সম্প্রতি ওয়াসিম রিজ়ভি (Wasim Rizvi) থেকে ধর্মান্তরিত জিতেন্দ্র নারায়ণ সিংহ ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ওই ধর্মসভার আয়োজক যতি নরসিংহানন্দ গ্রেপ্তারও হয়েছেন। ওই ধর্মসভা তথা দেশজুড়ে বাড়তে থাকা ঘৃণা ভাষণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছেন পাটনা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অঞ্জনা প্রকাশ এবং সাংবাদিক কুরবান আলি।
‘হিন্দু সেনা’ (Hindu Sena) নামের সংগঠনটির দাবি, “এভাবে আধ্যাত্মিক হিন্দু নেতাদের কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবেদনকারী একজন মুসলিম। হিন্দু ধর্মসংসদ নিয়ে আপত্তি জানানোর কোনও অধিকার তাঁর নেই। ” সংগঠনটির সাফ কথা,”হিন্দু সংস্কৃতির উপর আক্রমণের জেরেই এই ধরনের ভাষণ। এই ভাষণকে কোনওভাবেই ঘৃণা ভাষণ বলা যাবে না।” ওই সংগঠনটির সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত বলছেন, ঘৃণা ভাষণ মুসলিমরাও দেয়। গ্রেপ্তার করতে হলে আসাদউদ্দিন ওয়েইসি, ওয়ারিশ পাঠানদের মতো নেতাকে গ্রেপ্তার করা হোক।
‘হিন্দু ফ্রন্ট ফর জাস্টিস’ নামের সংগঠনটি যখন হিন্দুদের ঘৃণা ভাষণের বিষয় নিয়ে শীর্ষ আদালত যখন মামলা গ্রহণ করেছে। তখন মুসলিমদের ঘৃণা ভাষণের বিষয়টিও সেই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হোক। হিন্দুদের বিরুদ্ধে ২৫টি ঘৃণা ভাষণের উদাহরণ তারা তুলে ধরেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.