সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেলযাত্রায় নিরাপত্তা কি প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে? সাধারণ মানুষ তো দূর অস্ত, খোদ সাংসদরাই এখন ট্রেনের প্রথম শ্রেণিতেও যাত্রা করতে নিরাপদ বোধ করছেন না। শুক্রবার এই নিয়ে তুমুল বাগবিতণ্ডা হয় রাজ্যসভায়। দুই সাংসদ অভিযোগ করেন, দূরপাল্লার রেলযাত্রায় তাঁদের সর্বস্ব খোয়া গিয়েছে। ঘটনায় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের প্রতিক্রিয়া, ‘আমি নিরুপায়’।
রাজ্যসভার অধিবেশনে সিপিএম সাংসদ ঝরনা দাস বৈদ্য ও বিজেডির সরোজিনী হেমব্রম আলাদা আলাদা করে অভিযোগ তোলেন, ট্রেনে যাত্রা করতে গিয়ে তাঁদের যাবতীয় মালপত্র খোয়া গিয়েছে। বৈদ্য জানান, কলকাতায় আসার পথে তাঁর মালপত্র চুরি গিয়েছে। আর হেমব্রম অভিযোগ করেন, শিরডি থেকে ভুবনেশ্বর যেতে গিয়ে প্রথম শ্রেণির কামরা থেকে তাঁর সর্বস্ব হারিয়ে গিয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, একজন সাংসদের যদি রেলযাত্রা করতে গিয়ে এই অভিজ্ঞতা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন প্রতিদিন?
প্রতিক্রিয়ায় রেলমন্ত্রী জানান, দেশজুড়ে এরকমই বেশ কয়েকটি গ্যাং সক্রিয় হওয়ার খবর তিনিও পেয়েছেন। কিন্তু সমস্যা হল, ওই লুটেরারাও সাধারণ যাত্রীদের মতোই বৈধ টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠে, ফলে তাদের আলাদা করে চেনার উপায় নেই। তিনি নিরুপায়। তবে রেলে ২০ লক্ষ সিসিটিভি লাগানোর যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা শেষ হলে পরিস্থিতি পালটাবে বলে আশাবাদী গোয়েল। রেলমন্ত্রী বলেন, ‘সামগ্রিক রেল পরিষেবাকেই সিসিটিভিতে মুড়ে ফেলার ভাবনাচিন্তা চলছে। ভিডিও ফুটেজ দেওয়া হবে স্থানীয় পুলিশকে। চলন্ত ট্রেনে ওই ফুটেজ দেখতে পাবেন চালক ও নিরাপত্তারক্ষীরা। ইতিমধ্যেই চারশোরও বেশি ট্রেনে সিসিটিভি লাগানোর প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।’
রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুধুমাত্র ২০১৬-তেই সবমিলিয়ে ১৪,৯৩৪টি চুরির অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে। যার মধ্যে ২১৯ বার যাত্রীকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে বেহুঁশ করা হয়েছে। এই ধরনের অপরাধ সবচেয়ে বেশি হয়েছে সেন্ট্রাল রেলে। এই বিপজ্জনক প্রবণতা রুখতে সব রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স ও কেন্দ্রের রেল পুলিশ সবসময়ই তৎপর বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.